নয়া আশঙ্কার মুখোমুখি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। খারিজ হয়ে যেতে পারে তাঁর বিধায়ক পদ। সম্প্রতি খনি লিজ দেওয়া মামলায় নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে রাজ্যপালের কাছে। এই রিপোর্টে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপালই, বলা হয়েছে সেই কথাও। হেমন্তের বিধায়ক পদ থাকবে কিনা সেই বিষয়ে আজই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বৈশ্য। স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে খনি লিজে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১২ই আগস্ট এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে হেমন্ত সোরেনের আইনজীবীরা তাঁর মক্কেলের পক্ষ তুলে ধরেছিলেন। এরপর ১৮ই আগস্ট বিজেপি পক্ষের আইনজীবীরা পাল্টা তাঁদের মন্তব্য তুলে ধরেছিলেন। সংবিধানের ১৯২ ধারা অনুযায়ী, কোনও আইনসভার সদস্যের যোগ্যতা বা পদ থাকবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের। এই বিষয়ে বলা হয়েছে, “এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যপালকে জানাতে হবে। রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি (সুপারিশ) জানবেন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করবেন।”
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বৈশ্য। সূত্রের খবর, একটি মুখবন্ধ খামে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ তাঁর কাছে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ থাকবে কিনা, সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। সেক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ আদৌ থাকবে কিনা সেই বিষয়ে সংশয় ঘনীভূত হয়েছে। যদি তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়, সেক্ষেত্রে সার্বিকভাবে তা নজিরবিহীন হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে দিল্লীতে রয়েছেন রমেশ বৈশ্য। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ তিনি রাঁচি পৌঁছবেন। হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাইন এবং বনমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে খনি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনায় আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট শিবশঙ্কর শর্মা সিবিআই এবং ইডির হস্তক্ষেপ চেয়ে দুটি পিআইএল ফাইল করেন। এই মামলায় হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছিলেন তিনি শিবশঙ্কর।