বেড়েই চলেছে দুশ্চিন্তা। প্রবল চাপে উত্তরপ্রদেশের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। এর আগে শ্রীকান্ত ত্যাগীকে দলের সদস্য হিসেবে কার্যত অস্বীকার করেছিল বিজেপি। যদিও পরে জানা গিয়েছে শ্রীকান্ত ত্যাগী বিজেপির একটি সেলের নেতা। স্বভাবতই তাতে মুখ পুড়েছে গেরুয়াশিবিরের। এবার মাথাব্যথা আরও বাড়ল যোগী আদিত্যনাথের। কারণ, ধৃত শ্রীকান্ত ত্যাগীর সমর্থনে বসল মহাপঞ্চায়েত বসল উত্তরপ্রদেশের নয়ডায়। শ্রীকান্ত নয়ডারই বাসিন্দা। সম্প্রতি নয়ডা পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। যে আবাসনে তিনি থাকতেন, সেই আবাসনের এক মহিলা বাসিন্দার সঙ্গে অভব্য আচরণ এবং নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে ত্যাগীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে নিজের গাড়িতে সরকারি প্রতীক অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। সেই গ্রেফতারির প্রতিবাদে আয়োজিত নয়ডার এই মহাপঞ্চায়েত রবিবার সকাল ১০টায় গেজহা গ্রামের রামলীলা ময়দানে শুরু হয়। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ, মজফফরপুর, বুলন্দশহর, বাগপত এবং হাপুর এলাকা থেকে ত্যাগী সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার সদস্য এই মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, যে গেজহা গ্রামে এই মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল, তার প্রবেশপথে উদ্যোক্তারা বড় বড় করে ব্যানারে লিখে দিয়েছিলেন, “আমাদের গ্রামে বিজেপি নেতাদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” গত ৯ই আগস্ট গ্রেফতার হয়েছেন শ্রীকান্ত ত্যাগী। তারপরই এই ব্যানার দেওয়া হয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। ত্যাগী সম্প্রদায়ের এই মহাপঞ্চায়েত ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না-ছড়ায়, সেজন্য ব্যাপক পুলিশ পাহারার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। র্যাফও মোতায়েন করা হয়েছিল। ত্যাগী থাকতেন নয়ডার সেক্টর ৯৩বি-এর গ্র্যান্ড ওমেক্স সোসাইটিতে। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে মহিলা প্রতিবেশীর সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতারির আগে চার দিন তিনি পলাতক ছিলেন। অবশেষে ত্যাগীকে মীরাট থেকে গ্রেফতার করা হয়।