নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর বারবার প্রকাশ্যে এসেছে দেশের অর্থনীতির পতন ও বিপর্যয়। বয়ে গেছে বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড়। তবুও ফেরেনি হাল। ব্যর্থ মোদী সরকার। আরও একবার ভারতের আর্থিক ব্যবস্থার জন্য ধেয়ে এল অশনি সংকেত। সকালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ফের টাকার দামে পতন দেখা দিয়েছে। মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দর গিয়ে ঠেকেছে ৭৯.৮৮-এ। কালকের পর আজ ফের পড়েছে টাকার দর। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে টাকার দরপতনে হল ৪ পয়সা। পতন সামান্যই। তবে ক্রমাগত এই পতন সমস্যা তৈরি করতে পারে দেশের অর্থব্যবস্থার জন্যে। তেমনই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ৮০ টাকা হওয়ার থেকে মাত্র ১২ পয়সা দূরে দাঁড়িয়ে আছে দর। অর্থাৎ, টাকার দর পড়লে তা এবার ৮০-তে গিয়ে ঠেকবে। ফলত অদূর ভবিষ্যতে বড়সড় আর্থিক সংকট তৈরির আভাস থেকে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টাকার দরে পতন হওয়া মানে দেশে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাওয়া। বাণিজ্যে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হতে পারে। দ্রুত আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। রফতানি থেকে লাভের বিপুল হ্রাসেরও আশঙ্কা রয়েছে। জুন মাসের হিসাবে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৭৫%। জুলাই মাসের হিসাবে সেই মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬.৭৫%। রেপো দাওয়াইয়ের ফলে ১% কমছিল মুদ্রাস্ফীতি। টাকার দর ফের একবার পতনের ফলে সেই মুদ্রাস্ফীতি ফের একবার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে পারে। দেশের হাতে সঞ্চিত যে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারেও ঘাটতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি দেশকে আর্থিক ভাবে দেউলিয়া হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছিল এমনই পরিস্থিতি। স্বাভাবিকভাবেই প্রমাদ গুনছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।