গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতৃত্ব? আপাতত রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তেমনটাই। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে গুজরাট সরকার জানিয়েছে, রাজ্যের দুই মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী এবং পূর্ণেশ মোদীর দায়িত্ব কমানো হল। এরা দু’জনই একইসঙ্গে একাধিক মন্ত্রক সামলাচ্ছিলেন। রাজেন্দ্র ত্রিবেদীর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে রাজস্ব দপ্তর। সড়ক ও নির্মাণ দপ্তরের মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পূর্ণেশ মোদী। তবে রাজেন্দ্র ত্রিবেদী আগের মতোই আইন, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং পরিষদীয় মন্ত্রিত্ব সামলাবেন। পূর্ণেশ মোদীর হাতেও থাকবে পরিবহণ, তীর্থক্ষেত্র, পর্যটন এবং বিমান পরিবহণ দপ্তর। এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে, তাহলে কি নির্বাচনের আগে গুজরাট নিয়ে চাপে বিজেপি? আগামী ডিসেম্বরে গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন। এবার গুজরাট নিয়ে বেশ চাপে আছে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, এমনিতেই দীর্ঘদিন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার পলে বিজেপি সরকার বিরোধী একটা হাওয়া তৈরি হয়েছে। তার উপর বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের উপর মানুষের কিছু ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি গুজরাটে আপ এবার ভাল ফল করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কংগ্রেসও অতীতের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। যার ফলে চাপ বাড়ছে গেরুয়া-নেতৃত্বের অন্দরে।
সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, যে মন্ত্রীদের দায়িত্ব কমানো হল, তাঁদের দফতরের পারফরম্যান্সে খুশি ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। তাই নির্বাচনের আগে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাননি তিনি। কয়েকদিন আগেই বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। গোধরার উপসংশোধনাগারে গত ১৫ বছর ধরে বন্দি ছিল সকলে। ১৫ই আগস্ট মুক্তি পেয়ে তারা বেরিয়ে এসেছে। জেল থেকে বেরনোর পরেই এগারোজন দোষীকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনেই গুজরাট বিধানসভার ভোট। ২০০২-কে খাতায়কলমে কলঙ্কহীন প্রমাণের চেষ্টায় মরিয়া বিজেপি। ফলত এবার বিজেপির কাজটা খুব একটা সহজ হবে না, এমনই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।