গত ১৬ অগস্ট ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠায় ফিফা। কারণ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ। এর ফলে অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ ভারতে না হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এএফসি কাপের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতের বিভিন্ন দলের খেলার উপরেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিদেশি ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বাধা রয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে কোন দিকে এগোয় ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ সেই দিকে তাকিয়ে সবাই। পিছিয়ে গেল ফুটবল নির্বাচন। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, প্রশাসক কমিটির আর কোনও ক্ষমতা থাকবে না। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগে অগস্টের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
সেই নির্বাচন হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। নির্বাচন পরিচালনা করবেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সচিব। ৩৬ সদস্যের ভোটার তালিকা তৈরি হবে। ভারতীয় ফুটবলের ভাগ্য এখনও ঝুলে রয়েছে। কারণ, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ফিফার নির্বাসন ওঠার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে নির্বাসন তোলার পথে কিছুটা হলেও এগোল ভারতীয় ফুটবল। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক আবেদন করেন, প্রশাসক কমিটির তৈরি করা খসড়া সংবিধানকেই মান্যতা দেওয়া হোক। কিন্তু প্রশাসক কমিটিরই অস্তিত্ব না থাকায় ভাইচুংয়ের আবেদনের আর কোনও যুক্তি নেই। ভারতীয় ফুটবলের আরও বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবহার করা হবে ভাইচুংকে। ফিফার সমস্ত দাবি মেনে নিতে চেয়েছিল তারা। সিওএ-র হস্তক্ষেপ তুলে নিতে যেমন আবেদন করেছিল, তেমনই প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকার না দেওয়ারও দাবি জানিয়েছিল তারা। সেই সঙ্গে প্রফুল্ল পটেলের নেতৃত্বে থাকা দলকে এআইএফএফ-এর অংশ না করার আবেদন জানানো হয়েছিল।