বরাবরই পরোপকারী ও সেবাবৎসল তিনি। এর আগেও জনসাধারণের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার ফের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন সোহম চক্রবর্তী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার চণ্ডীপুর বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত হলদিয়া-মেছেদা ৪২ নম্বর জাতীয় সড়কে। জানা যাচ্ছে, ওইদিন সন্ধ্যেয় নিজের বিধানসভা এলাকা থেকে কলকাতায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন সোহম। সেসময়ই রাস্তার ধারে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন তিনি। আহত ওই ব্যক্তিকে তড়িঘড়ি ভর্তি করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর হাসপাতালে। জানা যায়, আহত ওই ব্যক্তির নামে আশিস মাইতি, বয়স ৬০। তাঁর বাড়ি তমলুক থানার নাইকুড়ি এলাকায়। পেশায় তিনি পানের ব্যবসায়ী। ওইদিন সন্ধেয় নিমতৌড়ির পানের আরত থেকে বাড়ির ফেরার সময় কুমারগঞ্জ এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন আশিসবাবু। বর্তমানে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই সময় ইমারজেন্সিতে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে আহত আশিস মাইতির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন সোহম। তবে ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা জানা যায়নি এখনও।
এ বিষয়ে জানতে বিধায়কের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সৌম্যজিৎ সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সৌম্যজিৎ জানান, “হ্যাঁ, আমিও সেসময় ছিলাম। সোহমের গাড়ির পরেই আমার গাড়ি ছিল। দেখি একটা বাইক পড়ে আছে, আর তার পাশেই উনি আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ওঁকে আমার গাড়িতেই তোলা হয়। সঙ্গে স্থানীয় আরও কয়েকজনও এগিয়ে আসেন, তাঁরাও গাড়িতে ওঠেন। সকলকে নিয়েই তমলুক হাসপাতালে যাই, সেখানে আশিস মাইতিকে ভর্তি করা হয়। ওঁর বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। প্রথমে ওঁর স্ত্রী ফোন ধরেছিলেন, পরে বাড়ির কোনও ছেলেকে চাইলে ওঁর ভাই কথা বলেন। আমরা তাঁকে বিষয়টা জানাই। এরপর স্থানীয় যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরকে ফের ওই জায়গায় ফিরিয়ে দিয়ে আমরা কলকাতায় চলে আসি। ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলতে পারব না, কারণ, আমরা পৌঁছোনোর আগেই ঘটনাটা ঘটে গিয়েছিল। আহত ব্যক্তির মাথা থেকে রক্ত পড়ছিল। সেসময় ওঁকে বাঁচানোটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল।’ প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়েন সোহম। নির্বাচনে ৪৯.৮২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন অভিনেতা।