বন্দরের হাত ধরে রাজ্যে বিনিয়োগ। এবার শালুকখালি প্রকল্পে বিনিয়োগ হল ২৫০ কোটি টাকা৷ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়া মেরিটাইম কনভেনশনে এই চুক্তি হল বন্দরের সাথে হায়দ্রাবাদের এক সংস্থার৷ শালুকখালিতে হবে তেল ও এলপিজি জেটি৷ পরিবেশবান্ধব প্রকল্প হবে এটি, বলে জানিয়েছেন বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার।
শালুকখালি প্রকল্প নিয়েও আশার কথা শুনিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কথা ছিল আগামী নভেম্বর মাসেই বন্দর কর্তৃপক্ষ টেন্ডারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে লেটার অব অ্যাওয়ার্ড দিয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য নির্দেশ দেবে। নাব্যতা বেশি হওয়ায় শালুকখালিতে ২০১০সাল নাগাদ হলদিয়া বন্দরের সম্প্রসারিত অংশ ‘ডক-টু’ গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। পরে এই প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা হয়।
২০১৭ সাল নাগাদ ‘ডক-টু’ পরিবর্তে এলপিজি ও অন্যান্য লিক্যুইড কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য টার্মিনাল জেটি তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। টেন্ডারে একটি সংস্থা বাছাইয়ের পরও ফের টালবাহানা শুরু হয়। হলদিয়া বন্দর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে হুগলি নদীতে ১৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই জেটি তৈরির কাজ এবার শুরু হবে বলে জানিয়েছে বন্দর। বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, নানা কারণে এই প্রকল্প শুরু করতে অনেক দেরি হয়েছে।
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল সহ বিভিন্ন জট সম্প্রতি মুক্ত হয়েছে। বোর্ড মিটিংয়ে এবার কাজ শুরুর বিষয়টি তোলা হচ্ছে। নভেম্বর মাসেই লেটার অব অ্যাওয়ার্ড ইস্যু করে কাজ শুরু করতে বলছি। আপাতত ওখানে একটি অয়েল জেটি হবে।।হলদিয়া বন্দরের নতুন প্রকল্প হলদিয়া ডক টু’র কাজ খতিয়ে দেখতে হলদিয়া এসেছিলেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়্যাটের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি অনিল স্বরূপ।