ফেঁসে গেল মোদীর গলাভরা আত্মপ্রচারের ঢাক! স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর লালকেল্লা থেকে নারীশক্তি তথা নারী ক্ষমতায়নের গান গাইছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডের এগারো জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিল মোদীর সাধের ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য গুজরাতের সরকার। আর এই নিয়েই তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন দেশের বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। এই কি মোদীর নতুন ভারতের নমুনা? কটাক্ষের সুরে এমনই প্রশ্ন ছুঁড়ছেন অনেকে। সেই সঙ্গেই দোষীদের মুক্তির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০০৮ সালে অভিযুক্তদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষ্যে কিছু জেলবন্দিদের মুক্তির কথা রাজ্যদের জানিয়েছিল মোদী সরকার। যদিও বলা হয়েছিল কোন ধর্ষককে যেন কোনভাবেই ছেড়ে না দেওয়া হয়। এরপরেও কীভাবে ধর্ষকদের ছেড়ে দিল গুজরাত সরকার? হতবাক ও ক্ষুব্ধ দেশবাসী। একই সঙ্গে নারীশক্তির কথা ও অন্যদিকে মহিলাদের উপর বর্বরোচিত অত্যাচার করা দোষীদের মুক্তি দেওয়া ফের জনসমক্ষে আনল মোদী সরকারের দ্বিচারিতা।
উক্ত এগারো জন দোষীর মুক্তির প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র সাকেত গোখেল টুইটারে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে লিখছেন, “২০০২ গুজরাত গণহত্যার সময় বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করে, তাঁর গোটা পরিবারকে খুন করে কবর দেওয়া হয়। এহেন ঘৃণ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১১ জন দানবকে গুজরাত সরকার মুক্তি দিয়েছে। নয়ডার সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের রাগ কোথায় গেল? এমনকি কোথাও কোন ফিসফাসও নেই।” সাকেত আরও লেখেন, দোষী মুক্তিদের নিয়ে কোন সংবাদমাধ্যম, নয়ডার কোন টিভি চ্যানেল, কোন বিজেপি সমর্থক কেউ কোন প্রতিবাদ করল না। সাকেতের মতে, এর তিনটে কারণ হয়েছে। প্রথমত, ধর্ষিতার নাম বিলকিস বানো। দ্বিতীয়ত, এটা ২০০২ সালের ঘটনা। তৃতীয়ত, গুজরাতেই ঘটেছিল এই ঘটনাটি।