স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে লালকেল্লার পাঁচিলে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে সাভারকরের নাম করে সত্যের অপলাপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই দাবি করলেন অধ্যাপক সুগত বসু। তাঁর দাবি, সাভারকর প্রথম দিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করলেও পরে তার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
সোমবার ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাচীর থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছেন, তাঁদের স্বপ্নপূরণের সময় এসেছে। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি থেকে সাভারকর, প্রত্যেকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। নেহরু থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে আজ প্রণাম করার দিন। বিরসা মুন্ডা, সিধো কানহোর আন্দোলনও ভোলার নয়।’
এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য সুগত বসু বলেন, ‘ইতিহাসের বিকৃতি বা অপলাপ করছেন মোদী। গান্ধীজি, নেতাজির সঙ্গে সাভারকরকে কখনও এক আসনে বসানো যায় না। সাভারকর প্রথম জীবনে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করলেও পরে তার থেকে সরে আসেন। আমাদের স্বাধীনতা গান্ধীজি, নেতাজির সৌজন্যে।’
একই সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও মানতে নারাজ সুগতবাবু। তিনি বলেন, ‘শ্যামাপ্রসাদ কোনও দিন স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি ব্রিটিশ গভর্নরকে পরামর্শ দেন, কীভাবে ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখা যায়। নেতাজির মেজদা শরৎচন্দ্র বসু বাংলার ঐক্য বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। শ্যামাপ্রসাদ বাংলাকে ভাগ করার দাবি করেছিলেন। পূর্ব বাংলার হিন্দুদের দুর্দশার জন্য শ্যামাপ্রসাদ সরাসরিভাবে দায়ী।’