মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতীয় ফুটবলের উপর বজ্রপাত ঘটাল ফিফা। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করল বিশ্ব ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। আর এর জেরে অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন যেমন হাতছাড়া হল, পাশাপাশি ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা ফুটবল দলের খেলাও আপাতত বন্ধ। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের জেরেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে সাসপেন্ড করেছে ফিফা। যা ভারতীয় ফুটবল তথা ফুটবলারদের জন্য বড় ধাক্কা। এর ফলে চলতি বছর ভারতের মাটিতে আয়োজিত হতে চলা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। তবে শুধুই এই টুর্নামেন্ট নয়, এই নির্বাসন একাধিক প্রভাব ফেলবে এ দেশের ফুটবলের ময়দানে। ঠিক কী কী সমস্য়ার সম্মুখীন হবে ভারতীয় ফুটবল? জেনে নেওয়া যাক। প্রথমত, সিনিয়র হোক কিংবা জুনিয়র, ভারতের কোনও জাতীয় দল কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবে না। অর্থাৎ যদি নির্বাসন থেকে যায়, তাহলে অনূর্ধ্ব -১৭ মহিলাদের বিশ্বকাপ হওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে নামতে পারবেন না সুনীল ছেত্রীরাও। তাঁরা এশিয়ান কাপ খেলতে পারবেন না।
দ্বিতীয়ত, শুধু জাতীয় দলই নয়, এই নির্বাসনের প্রভাব সরাসরি পড়তে চলেছে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের উপরও। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে খেলার কথা মোহনবাগানের। কিন্তু নির্বাসন বহাল থাকলে সে ম্যাচে খেলতে পারবে না জুয়ান ফেরান্দোর দল। লাল-হলুদ শিবিরের উপর এর প্রভাব কী? যতদিন না পর্যন্ত সাসপেনশন উঠছে, নতুন করে কোনও বিদেশি ফুটবলার সই করানো যাবে না। এর অর্থ, ইস্টবেঙ্গলের ষষ্ঠ বিদেশি ফুটবলার সই করানোর পরিকল্পনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। একইরকম ভাবে ভারতীয় ক্লাবে খেলা কোনও বিদেশি এখন অন্য দেশেও যেতে পারবেন না। তৃতীয়ত, প্রশ্ন হচ্ছে, ঘরোয়া ফুটবলেও কি সমস্যা হবে? না, আপাতত এক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। তাছাড়া ক্লাব ফুটবলও চলতে পারবে আগের মতোই। অর্থাৎ আইএসএল, আই লিগ-সহ ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতায় ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকছে না। তবে জাতীয় দলের হয়ে নামতে না পারার চিন্তা মাথায় নিয়েই এই সব প্রতিযোগিতায় নামতে হবে ভারতীয় ফুটবলারদের। চতুর্থত, এই নির্বাসন একধাক্কায় কয়েক যুগ পিছিয়ে দিল ভারতীয় ফুটবলকে।