মহামারী পরবর্তীতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে চলতে শুরু করেছে রেল। মহামারী শুরুর আগে প্রবীণ নাগরিকরা রেলযাত্রায় ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১,৬৬৭ কোটি টাকার ছাড় পেয়েছিলেন। কিন্তু করোনা মহামারী সেই পরিস্থিতিতে আমূল বদল আনে। গত ৪ঠা অগাস্ট রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে মহামারীর আগে তাদের রেল ভাড়ার ক্ষেত্রে ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ মিলত। কিন্তু কোভিড সংকটের কারণে সেই ছাড় বন্ধ রয়েছে।
যদিও সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী স্লিপার ক্লাস এবং এসি থ্রি-টায়ার ভাড়ার ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকদের ভাড়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুক রেল এবং অবিলম্বে তা চালু করার কথাও সুপারিশে বলা হয়েছে। কমিটি আরও বলে যেহেতু রেল তার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে তাই প্রবীণ নাগরিকদের ছাড়ের বিষয়টি রেলের গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিৎ। যদিও কমিটির এই সুপারিশের প্রেক্ষিপ্তে রেলমন্ত্রী লোকসভায় এক বিবৃতিতে বলেন, করোনার কারণে রেলের যে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি বিবেচনা করে এই মুহূর্তে প্রবীণ নাগরিকদের ছাড়ের বিষয়টি চালু করা বাঞ্ছনীয় নয়।
সামগ্রিক প্রবীণ নাগরিক ছাড়ের কারণে রেলের লোকসানের অঙ্ক ২০১৭-২০১৮ সালে ১,৪৯২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০১৯-২০ সালে ১,৬৬৭ কোটি টাকা হয়েছে, তখন অসংরক্ষিত টিকিটে প্রাপ্ত ছাড় কমবেশি একই রয়ে গেছে। অসংরক্ষিত টিকিটে ছাড়ের বোঝা ২০১৭-১৮ সালে, ২১২ কোটি টাকা। পরের বছর তা বেড়ে হয়েছে ২২৩ কোটি টাকা আবার ২০১৯-২০ সালে তা নেমে আসে ২১৫ কোটি টাকায়।
একইভাবে, নন-এসি স্লিপার ক্লাসের কারণে রেলের ক্ষতির পরিমাণ ২০১৭-১৮ সালে ছিল ৪২৭ কোটি টাকা। পরের বছর বেড়ে হয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা। তার পরের বছর তা ৪৫১ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। ২০২০ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশব্যাপী লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশেই সমস্ত ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়।