বছরে ২ কোটি চাকরির সুযোগ তৈরির স্বপ্ন ফেরি করে ২০১৪ সালে দিল্লীর মসনদে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। তিনি ক্ষমতায় আসার পর আট বছর পার হয়ে গিয়েছে। বছরে দু’কোটি চাকরির দিশা এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেনি তাঁর সরকার। এরই মধ্যে চড়া মূল্যবৃদ্ধির আবহে কাজের বাজার নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ল। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার (৭ অগস্ট) শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্ব এক লাফে পৌঁছেছে ৯.৬৬ শতাংশে। তার আগের সপ্তাহে তা ছিল ৬.৭৩ শতাংশ।
জানা গিয়েছে, শুধু গ্রামেই ওই হার ৫.৯৭ শতাংশ থেকে বেড়ে পৌঁছেছে ১০ শতাংশের কাছে (৯.৮৮ শতাংশ)। শহরেও বেকারত্ব ৯ শতাংশের উপরে। ৩১ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে এই হার ছিল ৮.৩১ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, সুদ বৃদ্ধির জেরে শিল্পের মূলধন জোগাড় করার খরচ বেড়েছে। যার ফলে নতুন প্রকল্পে লগ্নি আটকে যাওয়ার পাশাপাশি বহু পুরনো প্রকল্পের সম্প্রসারণও ধাক্কা খেয়েছে। তার উপরে রয়েছে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির চাপ। ফলে বহু সংস্থায় নিয়োগ কার্যত বন্ধ। বাজেটে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের অন্যতম উৎস ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্র। তাতেও কাজ কমেছে। প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ব জোড়া আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দাঁড়িয়েও ভারতের অর্থনীতি তুলনায় স্থিতিশীল বলে যে বার্তা দেওয়া হচ্ছে সরকারি মহলের তরফে, সিএমআইই-র পরিসংখ্যানে তার প্রতিফলন কোথায়?