বিগত দু’বছর করোনা মহামারীর জেরে ভার্চুয়ালি শহিদ দিবস পালন করেছিল তৃণমূল। ফলে ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের বিপুল জনসমাগম দেখা যায়নি। কিন্তু চলতি বছরে সংক্রমণ আয়ত্তে থাকায় গতকাল আগের মতোই ফের বিশাল জনসমাগমের সঙ্গে শহিদ দিবস পালন করে ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি ভিনরাজ্যগুলিতেও এবার আয়োজনে কমতি ছিল না। যেমন ত্রিপুরা।
গত বছর জেলা প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় পরিকল্পনা সত্ত্বেও সেখানে একুশে জুলাই পালন করতে গিয়ে জটিলতার মুখে পড়েছিল বাংলার শাসক দল৷ পরিকল্পনা ছিল, আগরতলা-সহ বিভিন্ন জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনানো হবে৷ কিন্তু জেলাশাসকের অনুমতি না মেলায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো সম্ভব হয়নি। তার ওপর বেলা ২টো থেকে করোনা বিধিনিষেধের কারণে কার্ফু জারি হয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের পরিকল্পনা বড় ধাক্কা খেয়েছিল৷ যদিও তারপরও হার মানতে চাইছিলেন না কর্মীরা। আর এক বছর পরে নিজেদের দলীয় কার্যালয়-সহ একাধিক জায়গায় একুশে জুলাই পালন করল তৃণমূল।
এবার একুশে জুলাই পালনে ত্রিপুরাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল। কারণ পড়শি রাজ্যে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমেই তৃণমূল নিজেকে প্রসারিত করতে চেয়েছে। সেই মতো আগেভাগে ডাক পাঠানো হয়েছিল ত্রিপুরা প্রদেশ নেতৃত্বকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় স্তরে যে বার্তা যাবে তাতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সুবিধা হবে। দ্বিতীয়ত, মমতা বন্দোপাধ্যায় যে একমাত্র বিজেপি বিরোধী মুখ সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া যাবে।