বিগত দু’বছর করোনা মহামারীর জেরে ভার্চুয়ালি শহিদ দিবস পালন করেছিল তৃণমূল। ফলে ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের বিপুল জনসমাগম দেখা যায়নি। কিন্তু চলতি বছরে সংক্রমণ আয়ত্তে থাকায় গতকাল আগের মতোই ফের বিশাল জনসমাগমের সঙ্গে শহিদ দিবস পালন করে ঘাসফুল শিবির। আর সেই জনসভায় যোগ দিতে সুদূর পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের তেলোতা গ্রাম থেকে কলকাতা ছুটে এসেছিলেন দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। এতটা পথ, রাস্তায় খিদে পেলে কিছু খেতে তো হবে! তাই বাড়ি থেকে থলেতে বেঁধে নিয়ে গিয়েছিলেন মুড়ি। সেই মুড়ি যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোঁয়া পাবে, তা ছিল কল্পনার অতীত! বৃহস্পতিবার সভা শেষে বাড়ি ফেরার পর এখনও ঘোর কাটছে না তাঁর। তাঁর কাছে এই মুড়ি প্রসাদ-সমান।
প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইয়ের সভায় আসতে দেবাশিসের গ্রামের ৩০ জনের একটি দল রওনা দিয়েছিলেন কলকাতা। তাঁরা এসে বসেছিলেন সভামঞ্চের সামনের দিকেই। মঞ্চে উঠেছেন মমতা। তাঁর দিকে অপলকে তাকিয়ে দেবাশিস। দ্রব্যমূল্য নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করতে করতে বক্তব্যের মাঝেই কর্মী-সমর্থকদের কাছে মুড়ি চান তৃণমূল নেত্রী। তখন এ ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। ঝট করে সঙ্গে আনা মুড়ির থলেটি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে বাড়িয়ে দেন দেবাশিস। ওই মুড়ি নিয়েই মমতা কটাক্ষ করেন কেন্দ্রের জিএসটি নীতির। তার পর দেবাশিসকে মুড়ি ফিরিয়েও দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে নেত্রীর ছোঁয়া পড়ায় নিজেকে ধন্য মনে করছেন আউশগ্রামের এই যুব তৃণমূলকর্মী। তাই টিফিন থেকে কিছু মুড়ি বাঁচিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘দিদি আমাদের কাছে মুড়ি চাইবেন, এটা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। দিদির হাতের ছোঁয়া লেগে থাকা এই মুড়ি আমাদের কাছে প্রসাদ। এই প্রসাদ বাড়ির সবাইকে দেব।’