তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কারণ বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হলেও নির্বাচনের পর তাঁকে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিতে দেখা যায়। এবার কি সেজন্যই নিশানা করা হল রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে? ট্রেনে চেপে কলকাতা থেকে ফিরছিলেন তিনি। সকালেই পৌঁছনোর কথা ছিল স্টেশনে। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। যে গাড়িতে তাঁর ফেরার কথা ছিল, সেই গাড়িতেই সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। ভোর রাতে ওই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীর গাড়ি। আর সেই ঘটনাকে প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করছেন বিধায়ক। রায়গঞ্জে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এমন হিংস্র রাজনীতির নিন্দা করি।
শুক্রবার রাতে কলকাতা থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। শনিবার সকালে মালদহ নামার কথা ছিল তাঁর। তাঁকে আনতেই রায়গঞ্জ থেকে গাড়িটি রওনা হয়েছিল মালদহের দিকে। গাজোলের কাছেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা বেপরোয়া গতিতে আসা একটি লরি পিছন থেকে ধাক্কা মারে বিধায়কের গাড়িতে। আহত হন গাড়িতে থাকা দু’জন। লরির চালককে ইতিমধ্যে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে রাজি নন বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা ভেবেছিল আমি গাড়িতে আছি। আসলে আমার প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।’ গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, আয়কর পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ইডি, সিবিআই-এর হুমকিও শুনেছেন তিনি। বিধায়কের কথায়, আয়কর এলে আমি জবাব দিয়ে দেব। ইডি-সিবিআইকেও জবাব দিয়ে দেব। কিন্তু এমন হিংস্ত্র রাজনীতির নিন্দা করি।