পর পর পরাজয়। দলের পরিকল্পনা বোঝাতে গিয়েই আরই ঘেঁটে ফেললেন শ্রেয়স। আইপিএল শেষ হয়েছে। তারপর প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দু’টি ম্যাচ হেরে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই ভারতের সামনে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ‘কী হল?’ শ্রেয়স আয়ার মনে করছেন, কিছুই হয়নি। দল পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলছে। কিন্তু সেই পরিকল্পনাগুলির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মাঝপথে নিজেই তালগোল পাকিয়ে ফেললেন। যা বললেন, ভারতীয় দলের সেই পরিকল্পনা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। রবিবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মূলত পাঁচটি বিষয় নিয়ে কথা বললেন ভারতীয় দলের এই ব্যাটার। পরপর দু’টি ম্যাচে হার নিয়ে শ্রেয়সকে প্রশ্ন করা হলে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনার কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের আসল লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমাদের যাবতীয় পরিকল্পনা এখন বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে। অন্য কিছু নিয়ে আমরা এখন ভাবছি না। যেহেতু ম্যাচ প্র্যাকটিসের কোনও বিকল্প নেই, তাই এই ম্যাচগুলোয় অনুশীলন সেরে নিচ্ছি আমরা।
আগে এই সুযোগ খুব একটা পাইনি। আমরা টিম মিটিংয়েও এটা নিয়ে আলোচনা করছি। ফল যাই হোক না কেন, যে পরিকল্পনাগুলো আমরা করছি, সেই অনুযায়ী যেন আমরা খেলতে পারি। সফল না হলেও সেই ব্যর্থতা থেকে আমরা শিখব। না হলে ক্রিকেটার হিসাবে বা দল হিসাবে আমরা বড় হব কী করে? অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত আমরা এ ভাবেই খেলে যাব। সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’ আগের ম্যাচেও দেখা গিয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা শুরু থেকে মারতে যাচ্ছেন। এটাই কি বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের পরিকল্পনা? শ্রেয়স বলেন, ‘‘এটা ওই পরিকল্পনার অঙ্গ। আমরা ঠিকই করেছি, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমরা চালিয়েই খেলব। যদি পর পর উইকেট পড়তে থাকে, তা হলেও আমরা এ ভাবেই খেলার কথা ভেবেছি। ভবিষ্যতেও আমরা এই মানসিকতা নিয়েই খেলব।’’ এর পরেই শ্রেয়সের পরিকল্পনার তত্ত্ব তালগোল পাকিয়ে যায়। কটকের বরাবাটী স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, এই উইকেটে ধরে খেলা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, ‘‘এই ম্যাচে উইকেট অবশ্যই একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে। এই উইকেটে আমরা আলাদা করে যদি কিছু করতে পারতাম, সেটা হল ১১ থেকে ১৫ ওভার পর্যন্ত হাতে উইকেট রেখে খেলে যাওয়া। কিন্তু ওই যে পরিকল্পনার কথা বললাম। রান তোলার কথাটাও আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। ১৬০ রান হলে ওদের চাপে রাখতে পারতাম। মনে হয় আমরা ১২ রান কম করেছি।’’ অক্ষর পটেলকে নামানো হয় দীনেশ কার্তিকের আগে। এটাও নাকি আগে থেকে ঠিক করা ছিল। শ্রেয়স বলেন, ‘‘এটাও আমাদের পরিকল্পনা করা ছিল। আগেও আমরা এ ভাবেই খেলেছি। যখন উইকেট পড়ে, তখন সাত ওভার বাকি ছিল। অক্ষর এমন একজন ব্যাটার যে খুচরো রান নিতে পারে, স্ট্রাইক বদল করতে পারে। ওই সময় সেটাই দরকার ছিল। একটু ধরে খেলার দরকার ছিল। ব্যাট করতে নেমেই প্রথম বল থেকে মারবে, তখন এমন কাউকে দরকার ছিল না। কার্তিক অবশ্যই খুচরো রান নিয়ে খেলতে পারে।