এবার গরু পাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়ে পড়ল খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তাঁর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। গত ৪ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘কয়লা, গরু পাচারের উৎস অন্যত্র। কয়লা খনিগুলি পাহারা দেয় সিআইএসএফ। সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের বিষয়টি বিএসএফের দেখার কথা। এগুলি কিছুই আমাদের হাতে নেই।’ গরু পাচারকাণ্ডে এবার নাম জড়িয়ে পড়ল খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টে গরু পাচার কাণ্ডে অমিত শাহের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারী আদালতে দাবি করেছেন, বিএসএফ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাহলে নজর এড়িয়ে কিভাবে গরু পাচার হচ্ছে? গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। সিবিআই তাঁকে জেরা করেছে। ঠিক কী ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টে? কলকাতা হাইকোর্টে এবার নতুন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে গরু পাচারকাণ্ডে। এই মামলার পক্ষ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
মামলাকারীর স্পষ্ট প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অমিত শাহ। তাঁর দফতরের অধীনে রয়েছে বিএসএফ–সিআইএসএফ। কিন্তু তাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে দিনের পর দিন সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের ঘটনা ঘটে চলেছে? আর কী বলা হয়েছে? কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, সীমান্তে যদি সত্যিই নিরাপত্তা থেকে থাকে তাহলে এই পাচার কেন আটকানো যাচ্ছে না? তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, রমাপ্রসাদ সরকার নামে এক ব্যক্তি এই নিয়ে মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে পক্ষ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। মামলাকারী রমাপ্রসাদ সরকারের অভিযোগ, রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে রমরমিয়ে গরু পাচারের অভিযোগ আসছে। সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুরোপুরিই কেন্দ্রের।