২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস একটি চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছে কংগ্রেস। সেই উপলক্ষে আজকে রেলপথে চিত্তোরগড়ে পৌঁছলেন কংগ্রেস রাহুল গান্ধী। ভোর পাঁচটায় স্টেশনে নেমে রাহুল স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী ফের একবার কংগ্রেস সভাপতি হতে রাজি হয়েছেন। এই আবহে এই চিন্তন শিবির কংগ্রেসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুরের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন টুইটারে। তাতে দেখা গিয়েছে যে প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান ট্রেন থেকে নেমে এসেছেন, লোকেদের হাত জোড় করে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন, পুলিশ ও সাংবাদিকদের ভিড়ের মধ্যে একটি মালা এবং একটি উপহার গ্রহণ করেন রাহুল। এদিকে দলীয় কর্মীরা উল্লাসের মাধ্যমে রাহুলকে স্বাগত জানাচ্ছেন। ঠাকুর লেখেন, এই সবই ঘটেছে ভোর ৫টায়। ক্যপশনে কংগ্রেস নেতা লেখেন, ‘সকাল ৫টায়, চিত্তোরগড় রেলওয়ে স্টেশন… আমাদের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস কর্মীরা এবং স্থানীয় নেতারা অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন।’
এদিকে রাহুল গান্ধীকে কুলিদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। ছত্তিশগড় ছাত্রপরিষদের টুইট করা এক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রাহুল পাঁচজন কুলির সঙ্গে ট্রেনের মধ্যেই কথা বলছেন। রাহুলের হাতে একটি ফুলের তোড়া। কুলিদের দুঃখ কষ্টের কথা শুনছেন রাহুল। সম্মতিতে তাঁকে অনেকবার ঘাড় নাড়তেও দেখা যায়। উল্লেখ্য, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতেই রাহুলের এই ট্রেন যাত্রা।
সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর এখন কংগ্রেসের নজরে আসন্ন গুজরাত, হিমাচল নির্বাচন। পাশাপাশি ২০২৩ সালেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। আর তারপরই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। এই আবহে দলের সংগঠন গুছিয়ে নিতে মরিয়া কংগ্রেস। কংগ্রেসের অন্দরেও নেতৃত্বে বদলের ডাক উঠেছে। সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরও সোনিা গান্ধীর সঙ্গে কংগ্রেসের পুনরুত্থানের নীল নকশা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এই আবহে রাজস্থানের চিন্তন শিবিরে কংগ্রেস কোন পথ বেছে নেয়, সেদিকে নজর দেশের রাজনৈতিক মহলের।