সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার এলআইসি আইপিও সম্পর্কিত একটি বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, ফিনান্স অ্যাক্ট, ২০২১ এবং এলআইসি অ্যাক্ট ১৯৫৬-এর নির্দিষ্ট ধারাগুলির সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দাখিল হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনগুলির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র বা এলআইসিকে এই বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীদের দাবি ছিল, কর্পোরেশনের মূলধনকে ‘ইকুইটি ক্যাপিটাল’ হিসাবে চিহ্নিত করা এবং ফিনান্স অ্যাক্টের বেশ কয়েকটি ধারা অসাংবিধানিক এবং নিয়মবিরুদ্ধ। এই আবহে সর্বোচ্চ আদালত এলআইসির আইপিওর মাধ্যমে সরকারের শেয়ার কমানোর বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়েক করা আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানিতে রাজি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ দিনের বিডিংয়ে, ২১,০০০ কোটি টাকার পাবলিক ইস্যুটি ২.৯৫ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়েছে। এর রিটেল অংশ ১.৯৯ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়েছে। এলআইসি আইপিও-র পলিসিহোল্ডারদের অংশ ৬.১২ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়েছে। কর্মচারীদের অংশটি ৪.৪০ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়েছে। এলআইসি শেয়ারের তালিকাভুক্তির সম্ভাব্য তারিখ ১৭ মে। এলআইসি আইপিও বরাদ্দের তারিখ সম্ভবত আজ ১২ মে। এই আবহে গতকাল শীর্ষ আদালত এই মামলার আবেদনের শুনানিতে রাজি হয়। তবে আজকে শুনানি শুরু হলে এই মামলার প্রেক্ষিতে এলআইসি আইপিও বরাদ্দে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত।
সাবস্ক্রিপশন গত ৯ মে সোমবার পর্যন্ত চলেছে। বর্তমানে গোটা বাজারের চোখ অ্যালটমেন্টের দিকে। সম্ভবত আজই এলআইসির শেয়ার বরাদ্দ হতে পারে। এরইমধ্যে গত কয়েক দিনে ক্রমাগত এলআইসি আইপিও-র গ্রে মার্কেট প্রিমিয়ামের ‘কারেকশন’ হয়েছে। এলআইসি আইপিও গ্রে মার্কেট প্রিমিয়াম প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নিম্নগামী।