কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাক্ষী, অভিযুক্ত নন, শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, কলকাতাতেই জেরা করা হোক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। যদিও এদিনের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সুপ্রিমকোর্টে বলেন, অতীতে জেরা করতে গিয়ে কলকাতায় ঘেরাও হতে হয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সেক্ষেত্রে তদন্তকারী আধিকারিকদের নিরাপত্তা দিতে বলা হবে কলকাতা পুলিশকে।
আধিকারিকদের আশঙ্কার কথা বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্ট জানায় তদন্তকারী আধিকারিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশকে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দায়বদ্ধ করা হবে। ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের ৭২ ঘণ্টা আগে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মামলার শুনানি স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। ততদিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে দু-বার দিল্লীতে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। ফলে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে দিল্লীতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলে আগেই জানানো হয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি সবরকম সহযোগিতা এবং নথিপত্র কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দিতে প্রস্তুত তবে সে ক্ষেত্রে তাকে কলকাতায় ডেকে পাঠানোর আবেদন জানান তিনি। এদিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন রাজনৈতিক নেতা বলেই কি তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছে? এর আগে মার্চে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,আমরা মাথা উঁচু করে থাকার মানুষ। আমাদের লুকানোর কিছু নেই’।
সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ জানান, তার ছোট বাচ্চা রয়েছে এই অবস্থায় দিল্লীতে এসে বারবার তদন্তের মুখোমুখি হওয়া সম্ভব নয়। কলকাতায় ইডি দফতরে ডাকা হলে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কয়লা কেলেঙ্কারিতে যাতে তাকে কলকাতাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।