পারিবারিক অশান্তির তথ্য চাপা দিতেই রাজনৈতিক মোড়কে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। এই অভিযোগ চিৎপুরের বাসিন্দাদেরই। উত্তর কলকাতার কাশীপুর রেল কলোনির পরিত্যক্ত ঘরে অর্জুন চৌরাসিয়া যে আত্মহত্যাই করেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতে মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারাও।
তাঁদের মতে, চিৎপুরের ঘোষবাগানের চৌরাসিয়াদের পরিবারে বহুদিন ধরেই চলছিল সমস্যা। বেশ কিছু টাকা খোয়ানোর ফলে কয়েকজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন অর্জুন। একসঙ্গে অর্থনেতিক ও পারিবারিক সমস্যার চাপ মেনে নিতে পারেননি ২৬ বছরের যুবক অর্জুন। তার ফলেই কি আত্মঘাতী হলেন অর্জুন? সেই প্রশ্নই তুলেছেন মহল্লার বাসিন্দারা।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ২৫ বছর আগে অর্জুনের বাবা রাজকিশোর চৌরাসিয়া বিষপান করে আত্মঘাতী হন। তখন অর্জুনের বয়স মাত্র ৬ মাস। প্রচণ্ড মদ্যপান করতেন পরিবহণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তি। তাঁর কয়েকজন বন্ধু জানান, মদ্যপানের পর সাংসারিক অশান্তির জেরেই বিষ রাজকিশোর বিষ খেয়েছিলেন বলে তাঁরা জানতে পারেন। তবে বাড়িতে মৃত্যু বলেই দেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। যদিও চৌরাসিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে এই দাবি অস্বীকার করে বলা হয়েছে, অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়েছিল রাজকিশোরের।