কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের মাধ্যমে আইএসআই মার্ক, হলমার্ক-সহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণগত মান সম্পর্কে পরিচয় ঘটানো ও গুনমানের প্রয়োজনীয়তা অবহিত করাই প্রশিক্ষণ শিবিরের মূল উদ্দেশ্য। দু’দিন ব্যাপী সেই প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে গেল কলকাতায়। বিআইএস আধিকারিকরা কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে করলেন প্রশিক্ষণ শিবির।
পড়ুয়াদের সচেতন করে তুললেই সমাজকে আরও বেশি করে সচেতন করে তোলা সম্ভব। দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণগতমান যাচাই করা সমাজের অধিকার। কিন্তু অনেকেই সেই গুণমান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করে তুলতেই ভারত সরকারের বিআইএস-এর উদ্যোগ।
কলকাতায় সেই সংখ্যা প্রায় ৬০। প্রতি স্কুলেরই স্ট্যান্ডার্ড ক্লাবের একজন করে মেন্টর তৈরি করা হয়েছে সেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে। সেই মেন্টরদেরই দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শিবির থেকে মেন্টররা শিক্ষিত হয়ে তারা স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন সচেতনতার পাঠ। মূলত গ্রাহক প্রতারণা ঠেকাতেই এই উদ্যোগ।
কলকাতা দিয়ে শুরু আসতে আসতে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলেই স্ট্যান্ডার্ড ক্লাব তৈরির ভাবনা রয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথায়, ‘অনেক কিছুই আমাদের কাছে অজানা ছিল। এই উদ্যোগ আগামী দিনে ক্রেতা সাধারণকে উপকৃত করবে’।
BIS-এর কলকাতার ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল দিব্যেন্দু চক্রবর্তী বলেন, বিআইএস ক্লাব তৈরির উদ্দেশ্য হল, সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মানের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুণমানের প্রয়োজনীয়তা কেন? সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
BIS আধিকারিক এনকে কানসারা ক্রেতা সুরক্ষা থেকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণগত মান কিভাবে যাচাই করা যায় সে ব্যাপারে অবগত করেন। সংস্থা সূত্রের খবর, প্রতিটি স্কুলে একটি করে স্ট্যান্ডার্ড ক্লাব তৈরি করা হবে। সেই ক্লাবে নবম-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ২৫ ছাত্র-ছাত্রী থাকবে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুল পিছু একজন করে সেই ক্লাবের মেন্টর হবেন। সেই মেন্টররা ওই পড়ুয়াদের সচেতনতার পাঠ দেবেন। পড়ুয়ারা সেই পাঠ ছড়িয়ে দেবে সমাজের বিভিন্ন স্তরে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য, পড়ুয়াদের মাধ্যমে ক্রেতাদের আরও বেশি করে সচেতন করা। যাতে ক্রেতারা প্রতারিত না হন।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দফতরের থেকে অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে স্ট্যান্ডার্ড ক্লাব তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। শিক্ষা দফতরের অনুমতি নিয়ে সেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্কুলে এখনও পর্যন্ত ১২০০ স্কুলে এই ধরনের স্ট্যান্ডার্ড ক্লাব তৈরি করা হয়েছে।