এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সপাট জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। “সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে কেন্দ্রকে সাহায্য করে না বাংলা।” মঙ্গলবার অসমে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার সেই অসমে দাঁড়িয়েই অভিষেক সাফ বলে দিলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোখার দায়িত্ব শুধু বিএসএফের, রাজ্য সরকারের নয়। বুধবার একদিনের অসম সফরে গিয়ে নতুন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক অমিত শাহকে বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা নিয়ে পালটা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার অসমে দাঁড়িয়ে শাহ বলেছিলেন, “অনুপ্রবেশ সমস্যা রুখতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এ বিষয়ে বাংলার তরফে সহযোগিতা মিলছে না। অন্যদিকে, কেন্দ্রের পিছনে পাহাড়ের মতো অটল হয়ে দাঁড়িয়েছে অসম। সমস্যার মোকাবিলা করছে কড়া হাতে। তার ফলও পাচ্ছে। বেআইনি অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।”
এরপর অভিষেকের পাল্টা বক্তব্য, “আমি যতদূর জানি সীমান্ত রক্ষা করা, সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোখা শুধু বিএসএফের দায়িত্ব।বাংলা সাহায্য করছে না এমন প্রমাণ থাকলে, সামনে আনুন। আর প্রমাণ থাকলে সরকারকে বলুন।” অভিষেকের দাবি, শুধু একই দলের শাসন বলে অসমের সুনাম করা হচ্ছে। আর অসমের সুনাম করতেই বাংলাকে অপমান করছেন অমিত শাহ। অনেক সূচকেই অসম বাংলার থেকে অনেক পিছিয়ে। শুধু সীমান্তে অনুপ্রবেশ নয়, সিএএ ইস্যু নিয়েও অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের বক্তব্য, “বাংলায় একরকম কথা বলছে, অসমে একরকম বলছে। সিএএ নিয়ে বিজেপি জুমলা দিচ্ছে। এটা সবাই দেখতেই পাচ্ছে। সিএএ সেই ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে।আড়াই বছর হয়ে গেল অথচ কার্যকর হচ্ছে না। আর সিএএ নিয়ে আমরা শুরু থেকেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে আসছি। আমরা সিএএ-র বিরোধিতা করছি। যাদের ভোটে আপনারা প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব কীভাবে বাতিল করবেন? আমরা এই বিলের বিরোধিতা করে আসছি। সিএএ শুধুমাত্র বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ার। আর কিছু নয়।”