শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় রেল অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ আপ ক্যানিং-শিয়ালদা লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয় এদিন। এর প্রতিবাদেই রেল অবরোধে শামিল হন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। ট্রেন অবরোধের জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এদিন রেল অবরোধ করেন।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকাল আপ ক্যানিং-শিয়ালদা লোকাল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নিত্যযাত্রীরা। সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ আপ ক্যানিং-শিয়ালদা লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয় এদিন। এর জেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীদের একাংশ। তারই প্রতিবাদে রেল অবরোধ করেন যাত্রীদের একাংশ। ওভার হেডের তারে কলাপাতা ফেলে রেল অবরোধ করেন তাঁরা।
সাতসকালে রেল অবরোধের জেরে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বিঘ্নিত হল ট্রেন চলাচল। শনিবার শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে বেতবেড়িয়া স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছ রেল পুলিশ। ট্রেন অবরোধের জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
যদিও রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মালগাড়ি ঢোকার কারণে নির্দিষ্ট কয়েকটি ট্রেন বাতিল থাকবে, তা জানানো হয়েছিল। এদিনের বিক্ষোভের জেরে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন থমকে যায় মাঝপথে। যার জেরে অফিস টাইমে চরম সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেল পুলিশ। কী কারণে ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে যাত্রীদের বোঝায় পুলিশ। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে রেল। তবে, অবরোধের জেরে ওই শাখায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন এদিন রেল অবরোধ করেন বলে অভিযোগ করেছেন। সকাল ৬টা ১০ মিনিটের ট্রেন বাতিল করায় অবরোধ করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশ হাত মিলিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। সন্তু হালদার নামে এক স্থানীয় যাত্রী বলেন, ”ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। জানানো হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে অবরোধ করা হয়েছে।” অন্য এক নিত্য যাত্রী বলেন, ”৬টা ১০ মিনিটের ট্রেনে আমরা রোজ যাতায়াত করি। কিন্তু আজ ওই সময় কোনও ট্রেন আসেনি। আগে থেকে মাইকিং করা হয়নি। ট্রেনে অনেক ভিড় হচ্ছে।
তাই সব লোকাল ট্রেন চালু করলে ভালো হয়। কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি রেল অবরোধ করেন।” আরেক নিত্যযাত্রী বলেছেন, ”অন্য সকাল ৬টা ১০ মিনিটের ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য লোকাল ট্রেনও চালানো হচ্ছে না, ফলে সমস্যা বাড়ছে। রোজ রোজ বাড়তি ভিড় হচ্ছে ট্রেনে।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সময়মতো ট্রেন চালানোর দাবিতে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় নলপুরে রেল অবরোধ করেছিলেন যাত্রীরা। যার জেরে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে ওই শাখায় থমকে ছিল ট্রেন চলাচল। আটকে পড়েছিল দূরপাল্লার ট্রেনও।