ছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাতারাতি তা হয়ে গেল অন্য এক ব্যক্তির নামে। চিকিৎসা করাতে গিয়েই জানতে পারলেন যে ওই চিকিৎসকেদের বসার জো নেই, কারণ সেই জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ জানান প্রশাসনের কাছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে। সেখানে এক জমি মাফিয়া সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমিই বিক্রি করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফের একবার প্রশাসনের নজরে এসেছে জমি মাফিয়াদের দাপটও।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কুদনি জেলার জামুরা পঞ্চায়েতের মুরাউল গ্রামে। সেখানেই গ্রামবাসীরা আচমকা জানতে পারেন যে দীর্ঘ বছর ধরে থাকা স্বাস্থ্য়কেন্দ্রটি যে জমির উপরে অবস্থিত, তা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। সার্কেল অফিসারের কাছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি বিক্রির সেটেলমেন্টের কাগজ আসতেই প্রশাসনের কাছেও স্পষ্ট হয় গোটা বিষয়টি।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালে গ্রামে ওই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছিল। গোপাল শরণ সিং নামক গ্রামেরই এক বাসিন্দা ১ একর জমি দান করেছিলেন। সেই জমিরই একটি অংশের উপরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, ওই অঞ্চলেরই এক জমি মাফিয়া ১ একর জমির মধ্যে ৩৬ ডেসিমাল জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রামবাসীরা জমি বিক্রি সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপরই তারা জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান যে, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি যেন চালু রাখা হয়, কারণ গোটা গ্রামে আর কোনও চিকিৎসা কেন্দ্র নেই।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, আয়ুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আগে বহু মহিলা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বসতেন। গ্রামের বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রই। তাই সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ না করে দেওয়া হয়।