উত্তরপ্রদেশে বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তিন শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ জনের দেহ। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি শুক্রবার রাতে নবাবগঞ্জ থানার খাগলপুর গ্রামের। নতুন করে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরে এই ঘটনায় যোগী সরকারকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। পুলিশের দাবি, ঘটনাটি আত্মহত্যার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৭টায় ঘটনার খবর এসেছিল। প্রয়াগরাজের পুলিশ সুপার অভিষেক আগরওয়াল জানান, ফরেন্সিক দল এবং পুলিশ কুকুর নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে রাহুল (৪২), তাঁর স্ত্রী প্রীতি (৩৮) এবং তাঁদের তিন মেয়ে— মাহি (১৫), পিহু (১৩) এবং কুহুকে (১১)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুলের দেহ ঘরের ছাদ থেকে ঝুলছিল। অন্যদের গলায় ধারালো কিছুর আঘাতের ক্ষত রয়েছে। শনিবার রাহুলের ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাতে আত্মহত্যার তত্ত্বই প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।
এসএসপি (প্রয়াগরাজ) অজয় কুমার বলেন, ‘বাড়ির মালিক রাহুলের দেহ ছাদ থেকে শাড়ির ফাঁসে ঝুলছিল। ওই দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যেখানে দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেই তিনটি চেয়ার পড়েছিল। যা দেখে মনে হয়েছিল, আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।’ তিনি জানান, রাহুলের স্ত্রী এবং তিন মেয়ের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে করা হচ্ছে, খুন করা হয়ে থাকতে পারে।