তৃতীয়বার বাংলায় সরকার গঠন করেই শিল্প বাণিজ্যকেই ফোকাস করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যত শুরু হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য কর্মসংস্থান। আগামী ২০ এবং ২১ এপ্রিল অর্থাৎ বুধ এবং বৃহস্পতিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে বসতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর। আর সেই সম্মেলন শুরুর চারদিন আগেই বড় বার্তা দিয়েছে ব্রিটেন। লগ্নির গন্তব্য বাংলাই। তাই সাম্প্রতিককালের সর্ববৃহৎ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ব্রিটেন, যে দলে থাকবেন সে দেশের প্রথমসারির শিল্পপতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা।
সূত্রের খবর, ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণায় বাংলার সরকারের ও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌ সই হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণামূলক কাজের আদানপ্রদানেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বাণিজ্য সম্মেলনে। যার ফলে ব্যাপক উপকৃত হবেন ছাত্রছাত্রীরা।
ব্রিটেন থেকে ৪৯ জনের সিনিয়র প্রতিনিধি আসবেন বলে রবিবারই ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের সঙ্গে ‘বিজনেস টু বিজনেস’ অর্থাৎ বি টু বি মিটিং করবেন তাঁরা। মূলত শিক্ষা, উদ্ভাবনী বা গবেষণায় বাংলার সঙ্গে যৌথভাবে কাজে গুরুত্ব দিচ্ছে ব্রিটেন।
কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার নিক লো বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে শিল্প ও বাণিজ্য সমঝোতা বাড়াতে গত মে মাসে রোড ম্যাপ তৈরি করে দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বাংলার সঙ্গে আরও বেশি বাণিজ্যস্থাপনে আগ্রহী ব্রিটেন। এর মধ্যেই ৩০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে শুধুমাত্র কলকাতাতেই। যুক্তরাজ্যের সংস্থাগুলি বাংলায় বিনিয়োগ প্রবলভাবে বাড়াতে আগ্রহী। তেমনভাবেই যে সংস্থা ভারতের অন্যত্র ব্যবসা করছে, তারা এবার কলকাতায় পা রাখতে চান’।
শুধু ব্রিটেন নয়, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি ও চিনের প্রতিনিধিদেরও নজরে রয়েছে বাংলায় বিনিয়োগ। দু’একদিনেই তাঁরা বিস্তারিত জানাবেন। বস্তুত, দেশের শীর্ষস্তরের শিল্পপতিরা ছাড়াও বিদেশ থেকে লগ্নির প্রস্তাব এখনই আসতে শুরু করেছে। বাংলা নতুন বছর যে বিনিয়োগের বছর হিসাবেই গণ্য হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত শিল্প দপ্তরের আধিকারিকরাও।