রাত পোহালেই পুরভোট। তার আগে শনিবার সকালে তৃণমূলের দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় তৃণমূল কর্মীদের জন্য প্রকাশ করা হল একগুচ্ছ নির্দেশিকা।
উৎসবের মেজাজে ভোট হোক এবং বাড়তি ভোটের জন্য অতি উৎসাহে এমনকিছু করবেন না যাতে বিতর্ক হয়। বিরোধীরা জানে তারা হারবেই, তাই প্রচারে থাকতে প্ররোচনা দিয়ে নাটক করতে পারে। কোনওভাবেই এইসব প্ররোচনায় পা দেবেন না এমটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের।
শনিবার জাগো বাংলার প্রথম পাতাতেই ছাপা হয়েছে এই নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকায় মোট দশ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে মূল বিষয় রয়েছে বেশ কয়েকটি।
এবারের ভোটে শাখা সংগঠন এবং গণসংগঠনের সকল সদস্যদের দলীয় প্রার্থীর পাশে থেকেই ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল যেখানে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোথাও কোনও অশান্তি না হয়। এরজন্য মূল যে দুটি বিষয় বলা হয়েছে তাঁর মধ্যে একটিতে বলা হয়েছে যে বিরোধীরা প্ররোচনা দেবে কিন্তু সেই প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না। এর সঙ্গেই বলা হয়েছে যে কর্মীরা যেন অতি উৎসাহে অতিরিক্ত ভোটের আশায় এমন কিছু করে না বসেন যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আগে দেখা যায়নি মানে ভবিষ্যতে দেখা যাবে না তা নয়। ভাল জিনিস হলে তা সবসময়ই ঠিকঠাক। আমাদের নেতারা জেলায় জেলায় ঘুরে এই কথাগুলি বার বার বলেছেন। সেই কথাগুলি সঙ্কলিত করে জাগো বাংলা প্রকাশ করেছে যে বিরোধীরা জানে তারা হারবে। সেই কারনেই তারা নানা রকম নাটক করার চেষ্টা করবে। আজ মিডিয়ার যুগ। তারা কখন কোথায় কী সাজিয়ে কী করবে সেই প্ররোচনায় তো পা দেওয়া যাবে না। আর মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন ফলে অবাধ, গণতান্ত্রিক ভোট করতে হবে। বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দিতে হলে ফোকাস নষ্ট হয়য়ে যাবে। সেই জন্যই কর্মীদের আবার একবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে’।