সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। গতকাল সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানো হবে। আর তারপর থেকেই ইউক্রেনের মাটিতে চলছে মুহুর্মুহু গুলি-বোমা বর্ষণ। রাজধানী কিয়েভে অনবরত মিলছে বিস্ফোরণের আওয়াজ। মস্কোর এই আগ্রাসী নীতির সমালোচনায় মুখর হয়ে আমেরিকা সহ ন্যাটো ও জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়ার সঙ্গে যাবতীয় আর্থিক লেনদেন বাতিল করেছে এরা।
এরই পাল্টা দিয়ে শুক্রবার মস্কো জানিয়ে দিল যে, ব্রিটিশ উড়ান রাশিয়ার আকাশ পথ ব্যবহার করতে পারবে না। শুক্রবার থেকে রাশিয়ায় যুক্তরাজ্যের সব বিমান এবং সেইসঙ্গে ট্রানজিট উড়ানও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ অ্যারোফ্লট ফ্লাইটের ওপর ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসাবে দেখা হচ্ছে মস্কোর এই পদক্ষেপকে। মস্কোর তরফে বলা হয়েছে যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাবের কারণে ব্রিটেন সেদেশে আগেই রাশিয়ার সব বিমান প্রবেশ নিষিদ্ধে করেছিল। এই ‘অবন্ধুসুলভ’ মানসিকতার পাল্টা হিসাবেই এবার তাদের দেশের আকাশ পথ ব্যবহার করতে পারবে না বিট্রেন।