সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। গতকাল সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানো হবে। আর তারপর থেকেই ইউক্রেনের মাটিতে চলছে মুহুর্মুহু গুলি-বোমা বর্ষণ। এই পরিস্থিতিতেও রুশ আগ্রাসন নিয়ে ভারত এখনও মুখ না খোলায় হতাশ ইউক্রেন। দিল্লীতে নিযুক্ত সে দেশের রাষ্ট্রদূত ইগোর পোলিখা জানিয়েছেন, ভারতের থেকে আমরা আশা করেছিলাম সাহায্যের। প্রত্যাশা ছিল গলার স্বর সপ্তমে তুলে রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদ করবে। কিন্তু ভারত চুপ করে থাকাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করল।
দিল্লীতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত পোলিখা বলেন, ‘ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে সুপারিশ ও পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, তারা পরিস্থিতির দিকে ভাল ভাবে এবং খুব কাছ থেকে নজর রেখেছে। আমরা এই বিবৃতিতে অত্যন্ত হতাশ। ভাল ভাবেই নজর রাখা হয়েছে মানে কী? এখনও পর্যন্ত ৫০জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর পর একশোজন প্রাণ হারাবেন। পরে হাজার-হাজার। তার পরে কী হবে? তখনও কি শুনতে হবে আমরা ভাল ভাবেই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি। খুব কাছ থেকে নজর রেখেছি।’ তিনি জানান, তারা ভারতের থেকে সাহায্য প্রত্যাশার পাশাপাশি কড়া ভাষায় রুশ আগ্রাসনের নিন্দা শোনার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু দিল্লী একটি শব্দও খরচ করল না। এমনকী জানাতে অস্বীকার করল, তারা কাদের সমর্থন করছে। পোলিখার কথায়, মস্কোর সঙ্গে দিল্লীর সম্পর্ক মোটের ওপর বন্ধুত্বপূর্ণ। প্রত্যাশা ছিল, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিরিখে দিল্লী ওই দেশের সঙ্গে কথা বলবে।