সোমবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া। আর তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র। অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে মস্কো। গতকাল সকালেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানো হবে। আর তারপরেই ইউক্রেনে পুরোদস্তুর হামলা শুরু করে দিয়েছে রুশ সেনা। এভার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধের আঁচ পড়তে চলেছে আমআদমির পকেটেও৷ দুই দেশের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনার জেরে গত কয়েকদিনে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা শুরু করতেই ক্রুডের দাম ১০৩ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়ে গিয়েছে। গত আড়াই মাসে অশোধিত তেলের দাম প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতির বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লেও দেশের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম স্থির রেখেছিল সরকারি তেল সংস্থাগুলি। বিশেষজ্ঞদের মতে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে চলতে থাকা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তেলের দামে বদল করা হয়নি। তবে নির্বাচন শেষ হতেই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ১০৪ ডলার প্রতি ব্যারেল। দেশের বাজারে সরকারি তেল সংস্থা ৩ নভেম্বরের পর পেট্রোলের দামে কোনও বদল করেনি। কিন্তু সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি ব্যারেল অশোধিত তেলের দাম প্রায় ২০ ডলার বেড়ে গিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বেশিদিন চললে অশোধিত তেলের দাম ১২০ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এর জেরে দেশের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ১৫ টাকা প্রতি লিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে৷ মার্কেট এক্সপার্টদের ধারণা, উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাব-সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই তেলের দাম বৃদ্ধি করা হতে পারে৷