বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়েছে রাশিয়া। গোটা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে কিয়েভের আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে রুশ যুদ্ধবিমান । ঘনঘন বিস্ফোরণের শব্দ আর ধোঁয়ার মেঘ ঘনিয়েছে আকাশে। এর মধ্যেই খবর, চেরনোবিলের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করে ফেলেছে রাশিয়া। স্বাভাবিক ভাবেই মাথাচাড়া দিয়েছে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা!
১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত ইউক্রেনের চেরনোবিল শহরে যে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা আজও ভোলেনি বিশ্ব। আপাত ভাবে ৩১ জনের মৃত্যু হলেও বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তার কবলে পড়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাতারাতি এক জনবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল চেরনোবিল। সেই চেরনোবিল এবার রাশিয়ার দখলে।
ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের সেনারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছে যাতে ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডি আর না ঘটে’। তিনি বলেন, এটা সমগ্র ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা। জেলেনস্কি যখন এই টুইট করছেন, তখন রাশিয়া চেরনোবিল দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিসের এক উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোল্যাক জানান, রাশিয়ার বাহিনী চেরনোবিলের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলে নিয়ে নিয়েছে। ফলে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
আশঙ্কা আরও ঘনিয়েছে ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী জিন-ইয়েভস লেদ্রিয়ানের কথায়। তিনি সটান জানিয়েছেন, যদি পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার কথা ভাবেন, তাহলে তিনি যেন মনে রাখেন ন্যাটোরও হাতে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র। তবে কি ন্যাটো প্রয়োজন বুঝে ইউক্রেনকে সাহায্য করতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হামলা করবে? সেই সম্ভাবনা অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি।