চার পুরনিগমের ভোটে দলের শোচনীয় ফলের দিনেই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের তুলোধনা করে ফের ময়দানে জয়প্রকাশ মজুমদার। নাম না করে বেনজির কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অনির্বাণ চক্রবর্তী, অমিত মালব্যদের। ‘কয়েকজন নেতা কর্পোরেট অফিসের মতো করে রাজ্য বিজেপি চালাচ্ছেন, তারই জেরে পুরভোটে এই শোচনীয় ফল’, এমনই অভিযোগ বরখাস্ত বিজেপি নেতার।
চার পুরনিগমের ভোটে ধরাশায়ী গেরুয়া শিবির। বিধাননগর, চন্দননগরে খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। আসানসোল, শিলিগুড়িতেও বিশাল বিপর্যয়ের সম্মুখীন পদ্ম শিবির। বিজেপির এই খারাপ ফল নিয়ে এবার দলের রাজ্য নেতাদের আক্রমণ শানিয়ে ময়দানে জয়প্রকাশ মজুমদার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এদিন তুলোধনা করেছেন বিজেপি রাজ্য নেতাদের
নাম না করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও অন্য কয়েকজেন নেতাকে তাঁর টিপ্পনি, ‘হারের দায় নিয়ে কে এবার কে পদ ছাড়বেন? অসহায় মজুমদার, ভার্চুয়াল চক্রবর্তী নাকি টুইটার মালব্য। কতিপয় নেতা কর্পোরেট অফিসের মতো করে রাজ্য বিজেপি চালাচ্ছেন। ভার্চুয়াল দলে পরিণত হয়েছে বিজেপি’।
গত কয়েক বছরে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। বারবার বিজেপি নেতারা ছুটে গিয়েছেন রাজভবনে। সেপ্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন বরখাস্ত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘টুইটার সর্বস্ব নেতা থাকলে এর চেয়ে ভালো ফল সম্ভব? হাইকোর্ট ও রাজভবন সর্বস্ব দল হয়ে গেছে বিজেপি। এখনকার নেতারা দলের সংগঠনকে ধ্বংস করছেন। এই পরিণাম হওয়ারই ছিল। চক্রান্তকারী কিছু নেতা ওপরে বসে আছেন। পার্টিটাকে শেষ করার চেষ্টা করছেন’। এদিন আরও একবার তাঁকে দল থেকে বরখাস্ত করা নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়প্রকাশ মজুমজদারর। তিনি বলেন, ‘পার্টিতো ভালো ফল করেছিল। সেই ভালো ফলের জন্য যারা দায়ী তাদের বাদ দিলেন কেন? কে পদত্যাগ করবে এবার? আজ বসে আপনারা ঠিক করুন’।