মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুদিন ধরেই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলে আসছেন। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও অবস্থার বদল হয়নি। নীরব ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ও জলসম্পদ মন্ত্রকও। যার ফলে গঙ্গার পাড় ভাঙনের সমস্যা এখনও রয়েই গেছে। সম্প্রতি বাংলায় গঙ্গার পাড় ভাঙন সমস্যার সমাধানের বিষয়টি চলতি বাজেট অধিবেশনের জিরো আওয়ারে রাজ্যসভায় উত্থাপন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। তিনি জানান, সংসদের ভিতর, বাইরে একাধিকবার গঙ্গার পাড় ভাঙনের সমস্যা তুলে ধরেছি। লোকসভার সাংসদ থাকামালীনও আমি এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলাম। আমি জলসম্পদ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ফারাক্কা ব্যারেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা হয়েছিল। সমস্যাকবলিত ওইসব এলাকা ফারাক্কা ব্যারেজের আওতাধীন। কিন্তু কোন উপকার হয়নি।
প্রসঙ্গত, মালদায় পাড় ভাঙন অন্যতম বৃহৎ সমস্যা, বিশেষ করে জেলার যে অংশ দিয়ে গঙ্গা বয়ে গিয়েছে। কয়েক দশক ধরে এই সমস্যায় জর্জরিত হয়ে মানুষ দিশাহারা, জলসম্পদমন্ত্রকের কাছে সমাধানমূলক পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে তাঁরা ক্লান্ত। বর্ষাকালে, এই অঞ্চলে বন্যার কারণে প্রতি বছর প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ঘরবাড়ি, খামার এবং বাগান সব তলিয়ে যায়। যদিও এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার খুবই কম। কারণ ওইসব এলাকা সরাসরি ফারাক্কা ব্যারেজের আওতাধীন, যেটি আবার জলসম্পদ মন্ত্রকের অধীন। কিন্তু ত্রাণ প্রদানের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব রাজ্য প্রশাসন করে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বিষয়টি তুলে ধরেন এবং স্থায়ী সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন।