বেশ কিছুদিন ধরেই হিজাব বিতর্ক নিয়ে উত্তাল বিজেপি শাসিত কর্ণাটক। যার আঁচ এখন কর্ণাটকের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়েই। আর তা দেখেই বিরোধীদের প্রশ্ন, কর্ণাটকে কি আসলে লখনউয়ের বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে? কারণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিয়ে কর্ণাটকের বিতর্কে বিজেপি উত্তরপ্রদেশের ভোটে ফায়দাই দেখছে। আসাদুদ্দিন ওয়েইসি উত্তরপ্রদেশের ময়দানে হিজাব বিতর্ককে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়েছেন। আর তার ফলেই শঙ্কিত বিরোধী শিবির। এসপি, আরএলডি, কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, উত্তরপ্রদেশের ভোটে মেরুকরণ তৈরি করতেই কর্ণাটকে আচমকা হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। ওয়েইসি হিজাবের পক্ষে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে নিশানা করবেন। বিজেপি তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করে হিন্দু ভোট কুড়িয়ে এই মেরুকরণের ফায়দা তুলবে। উল্টো দিকে, ওয়েইসি মুসলিমদের পক্ষে সরব হয়ে এসপি-আরএলডি-র মুসলিম ভোটে ভাঙন ধরাবে। তাতেও বিজেপিরই ফায়দা।
আজ, বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। জাঠ ও মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে গোড়া থেকেই বিজেপি হিন্দু মেরুকরণের কৌশল নিচ্ছে বলে অভিযোগ। কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক তাতেই নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও বিজেপির ফাঁদে পা দেবেন না বলে অখিলেশ যাদব, জয়ন্ত চৌধুরী এ বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটার নীতি নিয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা, হিজাবের পক্ষে সরব হতে গেলে জাঠ, ওবিসি, হিন্দু ভোটে ভাঙন ধরতে পারে। ওয়েইসি এই নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে অখিলেশদের আক্রমণ করছেন। রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী আগেই এ বিষয়ে ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু গোটা বিষয় থেকে বিজেপিই ফায়দা তুলবে দেখে এখন কংগ্রেস সরাসরিই মেরুকরণের অভিযোগ তুলেছে। আজ কর্নাটকের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোটের মেরুকরণ করতে কর্ণাটকে হিজাব নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। হিন্দু ও মুসলিমদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এর পিছনে রয়েছে।’