এবার সারা বাংলায় আর্সেনিক মুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭০০ কোটি টাকার সাহায্য করতে চায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)। এডিবি’র পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে লিখিতভাবে সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা প্রথম পর্যায়ে সহজ শর্তে ২৫০০ কোটি ঋণ দিয়েছে। মাত্র ০.৮৪ শতাংশ সুদের হারে ৫ বছর পর এবং ২৫ বছরের মধ্যে এই টাকা শোধ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। প্রথম পর্যায়ে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০টি জল প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হয়েছে ২০১৭-১৮ সালে। আগামী বছরের এপ্রিলে এই কাজ শেষ হবে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭০০ কোটি টাকা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এডিবি।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচির হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। অর্থসচিব মনোজ পন্থও আজ, বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে একটি বৈঠক করবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭০০ কোটি টাকায় দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও বাকুঁড়ায় জলপ্রকল্প তৈরি হবে। তার পরিকল্পনাও জমা দিতে বলেছে এডিবি। প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। অর্থসচিব মনোজ পন্থও আজ, বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে একটি বৈঠক করবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭০০ কোটি টাকায় দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও বাকুঁড়ায় জলপ্রকল্প তৈরি হবে। তার পরিকল্পনাও জমা দিতে বলেছে এডিবি।
প্রসঙ্গত,বিভিন্ন নদী থেকে ভূপৃষ্ঠের জল নিয়ে এই প্রকল্পগুলি তৈরি করছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি (পিএইচই) দফতর। কিন্তু প্রকল্পগুলির কাজ পাঁচবছরেও কেন শেষ হয়নি, তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। তিনি পিএইচই দফতরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তা, চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে প্রকল্প ধরে ধরে আলোচনা করেছেন। সেখানে নন্দীগ্রাম, ভাঙর, রাজারহাট ও হাড়োয়ার প্রত্যেকটি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। কোনও কোনও জায়গায় জমিজটের কারণে কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। কাজগুলি অবিলম্বে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭০০ কোটি টাকা এডিবি মঞ্জুর করেছে। এবার এই অর্থ কীভাবে ঠিকমতো কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে নবান্নের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এডিবি’র তরফের এদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিরেক্টর চিঠি দিয়ে এই মঞ্জুরির কথা নবান্নকে জানিয়েছেন। কোন কোন ব্লকে আর্সেনিক ও ফ্লোরাইড মুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা যায়, তার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এইসব প্রকল্পে এডিবি দেবে ৭০ শতাংশ টাকা আর রাজ্যকে দিতে হয় ৩০ শতাংশ। পিএইচই’র একটি অংশ চাইছে, এটি জলস্বপ্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হোক। কিন্তু জলস্বপ্ন প্রকল্পে রাজ্যকে ৫০ শতাংশ টাকা দিতে হয়। তাই আলাদা করে এডিবি’র প্রকল্প করা উচিত বলে মনে করছেন নবান্নের কর্তাব্যক্তিরা। এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় একমাত্র বাংলাতেই টাকা বরাদ্দ করল এডিবি। এর ফলে গ্রামে পরিস্রুত জল সরবরাহের আরও বেশি সুযোগ এসে গেল। এমনই মনে করছেন নবান্নের শীর্ষমহল।