সোমবারই বিপ্লব দেব সরকারকে ধাক্কা দিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ত্রিপুরার বিক্ষুব্ধ নেতা সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিষ সাহা। পাশাপাশি বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়ে দেন তাঁরা। এর পরেই দিল্লী উড়ে গিয়েছেন সুদীপরা। আরও তিন বিধায়ক অতুল দেববর্মা, দিবাচন্দ্র রাংখেল এবং বুর্বুমোহন ত্রিপুরাও দিল্লী গিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। তবে এর মধ্যেই ত্রিপুরার রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিল সোমবার রাতে ছড়িয়ে পড়া এক ছবি। যাতে এক ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে সুদীপ, অশিষের সঙ্গে অতুল দেববর্মা, দিবাচন্দ্র রাংখেল, বুর্বুমোহন ত্রিপুরার সঙ্গে পূর্ব ত্রিপুরার সাংসদ রেবতী ত্রিপুরাকে। ইতিমধ্যেই খবর চাউর হয়ে গিয়েছে, সুদীপরা কংগ্রেসে ফিরতে চলেছেন। আগামী কয়েকদিন দিল্লীতে থেকে শনিবার আগরতলা ফিরবেন সংস্কারপন্থীরা। কিন্তু ফ্রেমে রেবতীকে দেখার পর থেকেই জল্পনা আরও দানা বাঁধে।
যদিও দল ছাড়ার জল্পনায় জল ঢালতে চেয়েছেন রেবতী। এদিন দিল্লী থেকে পূর্ব ত্রিপুরার সাংসদ রেবতী জানান, ‘গতকাল আমি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আগরতলা থেকে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের বিমান ধরার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছই। বিকেল চারটে থেকে অধিবেশন ছিল। আগরতলা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দেখি ওঁরা বসে আসেন। পাঁচ জনের মধ্যে দুজন ইস্তফা দিলেও বাকিরা দেননি। সকলের সঙ্গেই সহকর্মী হিসেবে কাজ করেছি। তাই সৌজন্যের খাতিরেই তাঁদের সঙ্গে বসি, কথা বলি, চা খাই।’ এরপর রেবতী আরও বলেন, ‘সেই সময়ে কে ছবি তুলেছে আমি খেয়াল করিনি। তারপর গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর আমি যখন সেন্ট্রাল হল থেকে বেরোই তখন জানতে পারি, আগরতলা বিমানবন্দরের ছবি নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলছেন।’ তবে সুদীপদের দল ছাড়া নিয়ে রেবতী বলেন, ‘একজনও কার্যকর্তা যদি দল ছাড়েন সেটা দলের জন্য ক্ষতি। এক্ষেত্রেও তাই।’