আগামী লোকসভা নির্বাচনে সব আঞ্চলিক দল মিলে দিল্লী থেকে বিজেপিকে হটাবে। লখনউয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা একটু আগে লখনউয়ের একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও উপস্থিত ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেখানে বলেন, দিল্লিতে পরিবর্তনের পথ দেখাবে উত্তরপ্রদেশ। আর উত্তরপ্রদেশের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হল বাংলা। একজোট হয়ে সবাই অখিলেশকে জেতান, উত্তরপ্রদেশবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানান তৃণমূল সুপ্রিমোর।
আর ক’দিন পরেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার প্রথম দফার ভোট। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ দিয়ে শুরু হচ্ছে সাত দফার ভোট। অখিলেশের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে লখনউ গিয়েছেন মমতা। সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা, বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা এবং তাঁর ও তৃণমূলের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে উত্তরপ্রদেশবাসীকে মমতার ডাক, বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধুন। বাংলার তৃণমূল যেমন একাই বিজেপিকে মোকাবিলা করেছে, উত্তরপ্রদেশে সেটাই সম্ভব সমাজবাদী পার্টির হাত ধরে।
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে এবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদকের ডাকে কংগ্রেস প্রচারে ভালো সাড়া পাচ্ছে। লক্ষ্যনীয় হল, মমতা এদিন এক ঘণ্টার সাংবাদিক সম্মেলনে একবারের জন্যও কংগ্রেসের নাম নেননি। এমনকী উত্তরপ্রদেশের নামজাদা নেতাদের নাম করতে গিয়ে নেহেরু-গান্ধী পরিবারের কারও নাম মুখে আনেননি। যা থেকে স্পষ্ট, কংগ্রেসকে মোদী বিরোধী ব্রিগেডে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
এদিন বরং জোরের সঙ্গে দাবি করেছেন, আঞ্চলিক দলগুলিই বিজেপিকে দিল্লিতে ক্ষমতাচ্যুত করতে সক্ষম। সেই লক্ষ্যপূরণে উত্তরপ্রদেশ মডেল হতে পারে ভোট ভাগাভাগি আটকে দিয়ে। তৃণমূল নেত্রীর ফরমুলা, অখিলেশ যাদব এবং তাঁর দল সমাজবাদী পার্টিই এক মূহূর্তে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই জাত-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের উচিত অখিলেশের পাশে দাঁড়ানো।