গত ১৩ জানুয়ারি বিকেল ৫টা নাগাদ উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির দোমোহনিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছিল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসকে। কীভাবে ঘটল ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, তা নিয়ে একদিকে যখন তদন্ত চলছে। তখন অন্যদিকে রেলের বিভিন্ন পরিকাঠামোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে জোরদার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বস্তুত, রক্ষণাবেক্ষণ-সহ রেলের বিভিন্ন স্তরে অজস্র পদ খালি থাকায় কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলে কর্মী ইউনিয়নের অভিযোগ। সারা দেশে রেলে ২,৬৫,৫৪৭টি পদ খালি। তার মধ্যে আছে গেজেটেড পদও।
রেলের বিভিন্ন জোন এবং রেলের অধীন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মিলিয়ে বিপুল সংখ্যক পদ শূন্য বলে রাজ্যসভায় সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সব চেয়ে বেশি (৩৭,৪৩৬) নন-গেজেটেড অফিসার-পদ খালি উত্তর রেলে। তার পরেই ওই শ্রেণিতে সব চেয়ে বেশি পদ (২৮,২০৪) খালি পূর্ব রেলে। গেজেটেড অফিসার শ্রেণিতে সর্বাধিক (১৯৫) পদ খালি রয়েছে ওই রেলেই। গত দু’বছর ধরেই রেলের সেফটি ক্যাটেগরি-সহ বিভিন্ন শ্রেণিতে শূন্য পদের সংখ্যা বেড়েছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের।
মন্ত্রীর বক্তব্য, রেলে নিয়োগ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং তা চালু আছে। তথ্য বলছে, কলকাতা মেট্রোয় গেজেটেড অফিসারের ২২টি পদ খালি। নন-গেজেটেড পদ খালি ৮৫৬টি। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো থেকে কর্মীদের বদলি করে শহরের নতুন এবং সম্প্রসারিত মেট্রো পথের স্টেশনের কাজ সামাল দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ১৩৭টি গেজেটেড , ১৬,৮৪৭টি নন-গেজেটেড পদ শূন্য। নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলে ১১২টি গেজেটে, ১৫,৬৭৭টি নন-গেজেটেড পদ খালি আছে।