আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের ফাইনালে মিশরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল সেনেগাল। মূল সময়ে তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি সাদিয়ো মানে। টাইব্রেকারে ফয়সালার শটে গোল করে সেনেগালকে খেতাব এনে দিলেন তিনি। মূল সময়ের পরে অতিরিক্ত সময়েও গোলশূন্য শেষ হয় ম্যাচ। টাইব্রেকারে সেনেগাল জেতে ৪-২। সাত মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়েছিল সেনেগাল। মানে গোল করতে পারেননি। মিশরের গোলরক্ষক মানে আবু গাবাল বাঁচিয়ে দেন। মিশরের হয়ে শেষ টাইব্রেকার নেওয়ার কথা ছিল সালাহের। কিন্তু তার আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যায় ম্যাচের। লিভারপুলে তাঁর সতীর্থ মানে যখন জয়সূচক কিক নিতে যাচ্ছেন, দেখা যায় সালাহের চোখে তখনই জল। যা নিয়ে গণমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মিশরের ভক্তেরা। প্রাক্তন লিভারপুল তারকা জিমি ক্যারাগার আবার বলেছেন, “দলের এক নম্বর তারকাকে টাইব্রেকারে পাঁচ নম্বরে রাখার যৌক্তিকতাটা আমার কাছে স্পষ্ট হল না।”
উল্লেখ্য, গত দু’বার ফাইনালে হারের পরে অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হল সেনেগাল। অন্য দিকে রেকর্ড অষ্টম বার খেতাব জেতার সুযোগ হারাল মিশর। “আমি খুবই আবেগপ্রবণ এই মুহূর্তে। ৬০ বছর ধরে এই ট্রফিটা জিততে চেয়েছে সেনেগাল”, বলেন তাদের কোচ আবু সিসে। পাশাপাশি যোগ করেন, “এই জয় প্রমাণ করে যদি তুমি পরিশ্রম করতে থাকো, ঠিকই ফল পাবে একদিন।” সেনেগাল দলের অধিনায়ক মানে স্বীকার করেছেন, জীবনের সবচেয়ে সেরা ট্রফি হাতে নিতে পেরে তিনি গর্বিত। লিভারপুল তারকা বলেছেন, “ফুটবলার হিসেবে এর চেয়ে সুন্দর দিন জীবনে আগে কখনও আসেনি। বলতে দ্বিধা নেই, এর আগে অনেক ট্রফিই জিতেছি, কিন্তু এই খেতাব জয়ের তৃপ্তিই আলাদা।” তাদের দেশের ৮৮ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট পল বিয়া সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন এই ঐতিহাসিক জয় দেখার জন্য। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও হাজির ছিলেন পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময়। উল্লসিত ক্যামেরুনের কিংবদন্তি স্যামুয়েল এটো। তাঁর মুখ ভেসে উঠল বড় স্ক্রিনে। যিনি এখন ক্যামেরুনের ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান। জাতীয় দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সেনেগালে জাতীয় ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে।