প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে আগে সুর চড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সঙ্গে মশকরা করেছিলেন। রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ চলছে। এবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে শুধু বাংলা নয়, সারা দেশের রাজ্যপালদের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
রাজ্যপাল ইস্যুতে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন দমদমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, মনোনীত রাজ্যপালরা রাজ্য সরকারগুলির প্রত্যেকদিনের কাজে নাক গলাচ্ছে। এভাবেই কেন্দ্র চলছে। বাংলা, তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের মতো অবিজেপি রাজ্যে নির্বাচিত সরকারকে বিব্রত করা হচ্ছে।
সংসদে ঠিক কী বলেছেন সৌগত? এদিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘মনোনীত রাজ্যপালরা প্রত্যেকদিন রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে। রাজ্যের প্রত্যেকদিনের কাজকর্মে নাক গলাচ্ছে। অকারণে পুলিশ আধিকারিক ও মুখ্যসচিবকে তলব করছে। তামিলনাড়ু বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপাল ফের ফেরত পাঠাচ্ছেন। বাংলা বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাশ হওয়া বিলে সই করছেন না রাজ্যপাল।’ এভাবেই লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সামনে সুর চড়ান তিনি।
রাজ্যপাল রাজ্য সরকার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে ব্লক করেছেন জগদীপ ধনকরকে। এই পরিস্থিতিতে সৌগত রায় বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে বসে আছেন। রাজ্যপালরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে নয়াদিল্লী আসেন। তিনি তাঁদের টুইট করা বন্ধ করতে বলতে পারেন না?’