ফের পিএম কেয়ার্স তহবিল নিয়ে তোপের মুখে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৈরি এই করোনা ত্রাণ তহবিলের অডিট রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনায় এতদিন বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছিল সরকারকে। এবার পিএম কেয়ার্স তহবিলের অডিট রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেও অস্বস্তিতে পড়তে হল মোদী সরকারকে।
এক আরটিআইয়ের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পিএম কেয়ার্স তহবিলে প্রায় ১০ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এর ৬৪ শতাংশ জমা পড়েছে ২০২০ সালের ২৭ মার্চের পর। এই তহবিল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ভ্যাকসিন কিনতে। ভেন্টিলেটর কিনতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। এখনও কেন্দ্রের হাতে রয়েছে ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকা।
বিরোধীদের বক্তব্য, পিএম কেয়ার্স তহবিলের যে হিসাব সরকার দিচ্ছে সেটা স্বচ্ছ নয়। তাছাড়া গোটা দেশ যখন করোনার দাপটে গভীর সংকটে, মানুষের যখন প্রয়োজন ছিল, তখনও পিএম কেয়ার্স-এর ৬৪ শতাংশ টাকা কেন খরচ করা হল না? ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দেওয়া এই হিসাবকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে ‘সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এমার্জেন্সি সিচুয়েশন’ তহবিল গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বিপর্যয় মোকবিলা তহবিল থাকা সত্ত্বেও এই তহবিল তৈরি হওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়। দেশ-বিদেশের নাগরিক, বিভিন্ন সংস্থার তরফে প্রধানমন্ত্রীর এই তহবিলে টাকা জমাও পড়ে। করোনা মোকাবিলায় এই টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে অডিট বা আরটিআইয়ের ঊর্ধ্বে রাখা হয় এই তহবিলকে। সেটা নিয়েই যত প্রশ্ন বিরোধী শিবিরের।