শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিতকেই জেএনইউ-এর উপাচার্যের পদে নিয়োগ করল রাষ্ট্রপতি ভবন। তিনি সঙ্ঘের ‘ঘরের মেয়ে’ বলেই পরিচিত। তবে কি জেএনইউ-র পড়ুয়াদের ‘শায়েস্তা’ করতেই তাঁকে নিয়োগ করা হল? উঠছে প্রশ্ন।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ পদাধিকার বলে জেএনইউ-এর ভিজিটর। তিনিই নিয়োগ করেছেন শান্তিশ্রীকে। ৫৯ বছর বয়সি এই শিক্ষাবিদ আপাতত মহারাষ্ট্রের সাবিত্রীবাঈ ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে রয়েছেন।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন মামিদালা জগদীশ কুমার। তাঁকে দু’দিন আগেই ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। সোমবার জগদীশ কুমারের স্থলাভিষিক্ত হলেন শান্তিশ্রী পণ্ডিত।
এই নিয়োগের ফলে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষামহলে। ছাত্রছাত্রী বিশেষত বাম শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, জওহরলাল নেহরুকে শায়েস্তা করতে পাঠানো হয়েছে শান্তিশ্রীকে। কেন?
এই নিয়োগের সঙ্গেসঙ্গেই ছাত্রমহলে একটি টুইট কমেন্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর টুইটের রিপ্লাইয়ে শান্তিশ্রী লিখেছিলেন, ‘জেএনইউ-এর লুজাররা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এই উগ্রপন্থী, নকশালীদের ক্যাম্পাস থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত। জামিয়া মিলিয়া, সেন্ট স্টিফেন্সের মতো সাম্প্রদায়িক ক্যাম্পাসে তহবিল জোগানোও বন্ধ হওয়া উচিত।’