শিয়রে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। প্রচারে ত্রুটি রাখতে নারাজ কোনও রাজনৈতিক দলই। জনগণের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে চলছে লাগাতার প্রচেষ্টা। তবে এই প্রচার ঘিরে বাঁধছে কোন্দলও। চলছে রাজনৈতিক তরজা। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে চলছে প্রচারও। এরকমই এক বিতর্কিত ঘটনায় নাম জড়ালো উত্তর প্রদেশের এক বিজেপি প্রার্থীর।
উত্তর প্রদেশের মিরানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পারশান্ত গুজ্জার। তিনি এবং তাঁর ৪০ জন সমর্থকের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ করেছেন কাকরোলি স্টেশন হাউস অফিসার সুনীল শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, কোনও অনুমতি ছাড়াই পারশান্ত ও তাঁর ৪০ জন সমর্থক সভা করেন। তিনি জানিয়েছেন যে,দেশ জুড়ে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন সশরীরে নির্বাচনী জনসভা এবং শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এই সভাটি হয়েছে। গুজ্জারের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক ও হিংসা উদ্রেগকারী মন্তব্য করারও অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিও ক্লিপে শোনা গিয়েছে, গুজ্জার চোরাওয়ালা গ্রামের বসিন্দাদের কাছে তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আবেদন করছেন। কারণ বিজেপি হল হিন্দুদের দল এবং বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি হল মুসলিমের দল।
গুজ্জারের এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সুনীল শর্মা জানিয়েছেন, এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে তদন্ত করার পরই গুজ্জার এবং তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, কোনও জেলা আধিকারিকের অনুমতি ছাড়াই গুজ্জরের এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবং এই সভা নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত কোভিডবিধিও ভঙ্গ করে। মিঃ শর্মা বলেছেন, গুজ্জার এবং তাঁর ৪০ জন সমর্থকদের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৫ নং ধারায় (নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে সংঘর্ষের প্ররোচনা দেওয়া), মহামারি রোগ আইনের ৩ নং ধারায় এবং দুর্যোগ মোকাবিলা আইনের ৫১ নং ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। স্টেশন হাউস অফিসার বলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ নং ধারা (সরকারী কর্মচারীর আদেশের অমান্য করা), ২৬৯ এবং ২৭০ নং ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তাঁদের উপর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫(২) ধারা এবং ১৭১ নং ধারা আরোপিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শর্মা। প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশে সাত দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় মিরানপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ।