এবার বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমতো সুর চড়ালেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপনী মঞ্চে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন, আদালত ও বিচারব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করার অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, “নির্বাচন কমিশন, আদালত আর বিচারব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করতে চাইছে বিজেপি। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভাঙতে চায় কেন্দ্র। সমস্যায় পড়ছে রাজ্য প্রশাসন। ঠিকভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।” প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে শুরু করে একের পর এক ক্ষেত্রে হাইকোর্টে মামলায় জর্জরিত হয়েছে রাজ্য। নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম জড়ায় শেখ সুফিয়ানের। এখানেই শেষ নয়। পুরনির্বাচন পেছনোর দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সম্প্রতি, আইএএস ক্যাডার সংশোধনী প্রস্তাবকে কেন্দ্র করেও তুঙ্গে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত। প্রতিবাদ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, রেড রোড থেকে মমতা বলেন, “টিপটাপ, চুপচাপ আইপিএসদের তুলে নিয়ে চলে যাবে! তারপর হঠাৎ একদিন বলবে, মুখ্যসচিবকে পাঠান। মুখ্যসচিবকে নিয়ে চলে যাবে! তাহলে রাজ্যের কাজ করবে কে! যাঁরা আইপিএস, আইএএস নির্বাচিত হন, তাঁরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে এই পদের যোগ্যতা অর্জন করেন। তাঁদের এভাবে হাতের মুঠোয় রাখা যায় নাকি!” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, “গোটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোটাই আপনারা ভেঙে দিচ্ছেন। গোটা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ভাঙার চেষ্টা চলছে! এটা কি মগের মুলুক! একটা আইন নেই? যা ইচ্ছে সেই আইন বদলে দিচ্ছে, যখন যা মনে হচ্ছে তাই করছে!”
কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাডার সংশোধনী সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে স্বভাবতই তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে অ-বিজেপি রাজ্যগুলি। সরব হয়েছে বাংলাও। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে দু’দুটি খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগও করেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। ইতিমধ্যেই, বাংলা ছাড়াও উড়িষ্যা, বিহার, মেঘালয়, মধ্য প্রদেশ প্রস্তাবিত খসড়ার বিরোধিতা করে জানিয়েছে, বর্তমান আইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফে সহযোগিতা না মিললে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সংসদে আগামী অধিবেশনে ক্যাডার আইন সংশোধনী বিল পেশ করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে সূত্র মারফত।