প্রথম ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যেমন গা ম্যাজম্যাজ ভাব থাকে তেমনটাই ছিল অনুষ্কার। গত ৯ জানুয়ারি স্কুলে ভ্যাকসিন নিয়েছিল সে। কিন্তু তারপর কোথা থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছে না পরিবার। সোমবার ভোর সোয়া তিনটে নাগাদ অনুষ্কার মৃত্যু হয়।
চুঁচুড়া শিক্ষা মন্দির হাইস্কুলের ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী ছিল অনুষ্কা দে। চুঁচুড়ার দত্ত গলি এলাকায় তার বাড়ি। তরতাজা মেয়ের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে হতভম্ব পরিবারের সকলে। ভ্যাকসিনকেই তাঁরা দায়ি করছেন এই মৃত্যুর জন্য।
কিন্তু আদৌ কি তাই? জানা যাচ্ছে, সেদিন স্কুলে ওই একই ভায়াল থেকেই দশজন পড়ুয়াকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। অনুষ্কা ছাড়া বাকিরা তো সুস্থই আছে। তাহলে অনুষ্কার মৃত্যুর আসল কারণ কী?
রক্তে হঠাৎ কোনও সংক্রমনের কারণেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে অনুষ্কার, মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কেন এমনটা হল তা বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এরপরই চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনুষ্কাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার ভোরেই তার মৃত্যু হয়। যদিও সুব্রত বাবুর দাবি, তাঁর মেয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে একদম সুস্থ ছিল। তাহলে কেন এমনটা হল জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৯ জানুয়ারি স্কুলে ভ্যাকসিন নিয়েছিল বছর আঠেরোর অনুষ্কা। তারপরই জ্বর আসে তার। নিয়ম মাফিক প্যারাসিটামলও খেয়ে নেয়। এরপর দুদিন আর জ্বর আসেনি। হাতে ব্যথা বলায় মেয়ের হাতে বরফ ঘষেছিলেন বাবা সুব্রত দে। কিন্তু এরপর শরীর খুব দুর্বল হয়ে যায়। মাথা ব্যথা শুরু হয়। রবিবার সন্ধ্যায় পুরোপুরি নেতিয়ে পড়ে সে।