সুপারি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। এমনটাই দাবি ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের। গত বছর তিনি সুপারি খাওয়া নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করে চিঠিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আর এ নিয়েই এবার সামনে এসে পড়ল গেরুয়া শিবিরের মতানৈক্য! দুবের দাবিকে সমর্থন না করে কিছুটা এড়িয়েই গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া। তিনি দলীয় সাংসদে দাবি সরাসরি উড়িয়ে না দিলেও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। জানিয়েছেন, সুপারির কুপ্রভাব ও তার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এফএসএসএআই) সঙ্গে কথা বলা হবে। ফলফলাদি ও শাকসব্জি সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক প্যানেলের বৈঠকে আলোচনা করা হবে এ ব্যাপারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে দুবে দাবি করেন, সুপারি খেলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধি হতে পারে। সুপারি খেলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তার তালিকাও দেন তিনি। জানান, সুপারি খেলে ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার সংক্রান্ত সমস্যা, এন্ডোক্রিন ও প্রজনন সিস্টেম, রক্ত, শ্বাসজনিত সিস্টেমে খারাপ সাইড এফেক্টের ঝুঁকি থাকে। এমনকী সন্তানসম্ভবা মহিলারা সুপারি খেলে গর্ভের সন্তানের মধ্যেও অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। এবং ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগের কারণও সুপারি। তাই মোদীর কাছে তিনি আবেদন জানান, মানুষের সুপারি খাওয়া নিষিদ্ধ করুন। এই দাবিকে একেবারেই আমল দেননি মান্ডবিয়া৷ বরং তিনি জানিয়েছেন, আগে বিষয়টি পরীক্ষা করে খতিয়ে দেখে তা নিয়ে আলোচনা করবে বিজ্ঞানীদের কমিটি। তারপর তাঁদের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।