বাঁচাতেই হবে সদ্যোজাত শিশুটিকে। টলিউডের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সম্পাদক অনির্বাণ মাইতির কাছে ব্যাকুল আর্তি নিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে এক তরুণী লেখেন গোটা ঘটনা। তড়িঘড়ি সেই কথাই নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন অনির্বাণ। তারপর আধঘণ্টা মধ্যেই তিন দিনের শিশুকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম।
প্রসঙ্গত, নদীয়ার হরিণঘাটা থানার নগরউখড়া মহাদেবপুরের বাসিন্দা পূজা দেবনাথ তিন দিন আগে দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম দেন শিশুটির। কিন্তু জন্মের পর সদ্যোজাতর হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে। ওই হাসপাতাল বলে দেয়, হয় এসএসকেএম নইলে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া এই চিকিত্সা সম্ভব নয়। পূজার স্বামী অর্থাত্ নবজাতকের বাবা জয়ন্ত দেবনাথ সহ গোটা পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এক, মুকুন্দপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা করানোর আর্থিক সামর্থ তাঁদের নেই। আর এসএসকেএমে যোগাযোগ করার সূত্র জানা নেই।
এরপর পরিচিত মারফত অনির্বাণের কাছে খবর যায়। অনির্বাণ ঘোষিত বামপন্থী। তবে পেশাগত ভাবে তিনি সম্প্রতি ব্রাত্য বসুর ছবি ডিকশনারিও এডিট করেছেন। অনির্বাণ জানান, তিনি বন্ধুদের থেকে জানতে পারেন মদন মিত্র সুরাহা করতে পারেন। তাঁকে মেনশন করেই ফেসবুক পোস্ট করেন অনির্বাণ। তারপর দমদমের হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে পৌঁছে যায় অভিষেকের টিম।