চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তীব্র হল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে কার্যত জগদীপ ধনকরকে নিয়ে নালিশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলে দিলেন, ‘কেন্দ্রের গাইডলাইনই জানেন না রাজ্যপাল। উলটে প্রতিপদে রাজ্যের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন’।
অনুযোগের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেডিক্যাল সিট বাড়ানো উচিত। কিন্তু কোন কাজ করতে গেলেই রাজ্যপাল নাক গলান, জানেন না প্রধানমন্ত্রীর কাজই হচ্ছে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের নির্দেশিকা ৯৯ শতাংশ মেনে চলার চেষ্টা করে রাজ্য। রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রের দেওয়া সবধরনের নিয়ম পালন করারই চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রাজ্যপাল সেসব গাইডলাইন না জেনেই প্রশ্ন তোলেন’।
পাশপাশি এই ক্যাম্পাস তৈরিতে রাজ্যও ২৫ শতাংশ অর্থ দিয়েছে বলে উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর জন্যে বলি, আমরা এই হাসপাতালের উদ্বোধন আগেই করে দিয়েছি। কোভিড-কালে এখানে চিকিৎসা হয়েছে। রাজ্য ২৫ শতাংশ অর্থ দিয়েছে। জমি দিয়েছে। মুম্বই টাটা ক্যান্সারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ হচ্ছে। সাব ডিভিশন হাসপাতালে এইচডিইউ করা হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য সাথী স্কিম আছে। ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন আছে। ৫ লাখ টাকা আছে স্বাস্থ্য সাথী স্কিমে’।
নিজের বক্তৃতার একেবারে শেষ অংশে মমতা বলেন, ‘আমরা এখানে জন্মেছি। এখানে বড় হয়েছি। মূল যে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল, তার উল্টোদিকে ছিল আমার কলেজ (মুখ্যমন্ত্রী যোগমায়াদেবীর ছাত্রী ছিলেন)। আমাদের ছাত্রজীবনটাই কেটেছে এই পাড়ায়। আজকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন হচ্ছে। আমায় আমন্ত্রণ জানানোয় আমি খুব আনন্দিত’। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ‘ক্যানসারের এখনও কোনও অ্যানসার বের হয়নি। তাই আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে’।