ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মী মুজিবরের মৃত্যু হয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে গতকাল। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭’টা নাগাদ তার দেহ নিয়ে আসা হবে ত্রিপুরায়। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিহতের দেহ নিয়ে আসবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। তৃণমূলের অভিযোগ, মুজিবর ইসলাম নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছিল বিজেপি।
গত ২৮ অগস্ট টিএমসিপি অনুষ্ঠান করেছিল ত্রিপুরায়৷ অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয় মজিবরকে। এরপর তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় এনে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় মুজিবরের।
যদিও ত্রিপুরা বিজেপির দাবি, এর সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। তাদের দলের কেউ ওই দিন ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বিজেপি নেত্রী অস্মিতা বণিক জানিয়েছেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু এই মৃত্যুর সঙ্গে আমাদের কোনও কর্মী যুক্ত নয়। তৃণমূল কংগ্রেস মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে।”
এরই মধ্যে মুজিবর ইসলামের মৃত্যু তৃণমূলের হাতে নতুন ‘অস্ত্র’ তুলে দিল বলেই মনে করছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহল। আজ মুজিবরের দেহ প্রথমে নিয়ে আসা হবে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে। সেখান থেকে সাড়ে বারোটা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হবে ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনে, তারপর তার আগরতলার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরের দিন তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সোনামুড়ার দূর্গাপুরের বাড়িতে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, “গত ২৮ অগস্ট তৃনমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে গিয়ে বাধারঘাটে নিজের বাড়িতেই বিজেপি-র আক্রমণের শিকার হন মজিবর। তাঁর একটা হাত ভেঙে গুঁড়ো করে দেওয়া হয়েছিল এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছিল। আমরা সেদিন তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর থেকে তিনি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।”
রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, প্রতিনিয়ত মহিলা নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, ব্যাপকহারে বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট, বিরোধীদলের কর্মী নেতাদের উপর আক্রমন, কাৰ্য্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া, সংবাদপত্রের অফিস পুড়িয়ে দেওয়া, সাংবাদিক নিগ্রহ এবং সাধারণ জনগণের উপর প্রতিনিয়ত আক্রমন ও হেনস্থা তথা বাইক বাহিনীর দৌরাত্মের প্রতিবাদে গতকাল অভিযান করেছিলেন তাঁরা।